পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে কানাইপুর অটো স্ট্যান্ডে নিজের রান্নার গ্যাসের অফিস বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা৷ তখনই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর উপরে চড়াও হয়৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় তাঁকে৷ ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে পড়েন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তার ধারেই লুটিয়ে পড়েন তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য৷
advertisement
আরও পড়ুন: জয় বাংলা শুনেই গাড়ি থেকে নেমে এলেন শুভেন্দু, মুখোমুখি তৃণমূল কর্মীর! কী ঘটল আরামবাগে?
আহত ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে কানাইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল নেতার৷
ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছয় কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ৷ পরে উত্তরপাড়া থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। ঘটনাস্থলে যান চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অমিত পি জাভলগি৷ কী কারণে ওই তৃণমূল নেতার উপরে হামলা চালানো হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ৷
এই ঘটনায় বিজেপি-র দিকেই আঙুল তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি৷ ভরসন্ধ্যায় এ ভাবে তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ রাজনৈতিক নাকি ব্যবসায়িক কোনও কারণে তৃণমূল নেতাকে খুন করা হল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷