#ভাঙড়: 'বই-ই আমাদের জীবন, আসুন বই দিয়েই আমরা সেতু বন্ধন করি', বক্তা আরাবুল ইসলাম। বছরের পর বছর বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূলের এই 'তাজা ছেলে'র মুখে এহেন বক্তব্য শুনে খানিকটা হলেও অবাক সকলেই । ভাঙড় বই মেলার সাংবাদিক সম্মেলেন এসে এমনটা বলেন এই বিতর্কিত নেতা।
হঠাৎ সব ছেড়ে বই নিয়ে মাতলেন কেন আরাবুল ইসলাম? রাজ্য রাজনীতির কারবারি জানেন, নিজ গড়ে এখন আর আগের অবস্থা নেই এই দাপুটে নেতার। রেজ্জাক মোল্লা দল বদলের পর দলের মধ্যে এখন আরাবুল বিরোধী অনেক মুখ। একই সঙ্গে গ্রীড আন্দোলনের জেরে দলে এবং ভাঙড়ে বেশ কোণঠাসা আরাবুল। তাই পুরনো জমি ফিরে পেতে মরিয়া প্রাক্তন বিধায়ক। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে নিজের অন্য ছবি তুলে ধরতেই বই ধরেছেন আরাবুল। তার জন্য আয়োজনের কোনও কমতি নেই।
advertisement
আগামী ২৩ তারিখ শুরু হবে বইমেলা। চলবে তিন দিন। বইমেলা উপলক্ষে ভাঙড়ের দু’টি ব্লকের প্রায় সব ক'টি স্কুলের পড়ুয়ারা অংশ নেবে। শহরের বহু নামী লেখক, শিল্পীরাও উপস্থিত থাকবেন এই মেলায়। কিন্তু এত কিছুর পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না আরাবুলের। বইমেলার জন্য স্থান বাছা হয়েছে ভাঙড় মহাবিদ্যালয় মাঠ। একসময় এই কলেজের এক অধ্যাপিকার সঙ্গে ‘অভব্য’ আচরণের জেরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন আরাবুল। এবার সেই বিতর্ক পেছনে রেখে বই নিয়ে নয়া অভিযানে নেমেছেন তিনি।
এটা কি নিজের ইমেজ নতুন করে গড়ে তোলার জন্য মরিয়া প্রয়াস ? প্রশ্নটা রাখতেই ভাবলেশহীন আরাবুলের উত্তর, "যার যা ইচ্ছে ভাবুক, ভাঙড় জানে আরাবুল কে, আমি চাই সবাই বই পড়ুক। সাহিত্য সংস্কৃতিকে জানুক"। শাসকদলের তাজা নেতার হল কী? এই তো সেদিনও পাওয়ার গ্রীড বিরোধী আন্দোলনকারীদের মুখ্য নিশানায় ছিলেন আরাবুল। ভাঙড়ে শাসক দলের ভেতরের দ্বন্দ্বও তাঁকে ঘিরেই। যদিও ভোটের ক্ষেত্রে শাসক দল এখনও আরাবুলেই ভরসা রাখে। তাই নতুন করে নিজেকে ভাঙড়ের সামনে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি।
