পানিহাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর টুলুরানি দাস। এলাকায় তিনি দাপুটে নেত্রী বলে পরিচিত। সোমবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দলে আসা নব্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে শাসকদলের এই মহিলা কাউন্সিলর বলেন, তৃণমূল দলটা যারা দেখেনি তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনারা কিন্তু দলাদলি করবেন না। এটা সবার আগে বলে দিতে চাইছি। আমি পানিহাটি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে দেখছি, সব জায়গায় দলাদলিটা খুব চলছে। এটা বন্ধ করুন। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন সবাইকে একসঙ্গে মিলে করতে হবে। দলাদলি করলে চলবে না। একে অপরের পেছনে কাঠি দেওয়াটা বন্ধ করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: আর রেলস্টেশন নয়, এখন বেগুনকোদরের আতঙ্ক এই সেতুতে!
এই দাপুটে তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি ঘিরে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার শাসকদলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওখানে নবীন বনাম প্রবীণ লড়াই চলছে। এলাকায় কার কতটা দখলদারি বজায় থাকবে তাই নিয়ে যে সর্বত্র ঝামেলা চলছে তা কাউন্সিলরের কথা থেকেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: বন্যায় উত্তরবঙ্গের আর ক্ষতি হবে না! এই জিনিসের হাত ধরে দারুণ সুখবর
যদিও দলীয় কাউন্সিলরের এই বক্তব্যের উল্টো সুর শোনা গিয়েছে পানিহাটির তৃণমূল নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর গলায়। তিনি বলেন, দলের মধ্যে কোনও দলাদলি নেই। মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু দলাদলি নেই। কাউন্সিলারের মন্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয় বলে তিনি দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করেন। জানান ওই বক্তব্য দলের অবস্থান নয়।