বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে দুবরাজপুরের শ্মশান কালী মন্দিরের কাছে৷ অভিযোগ, সন্ধ্যাবেলা ওই দোকানে শিঙারা কিনতে আসেন দুবরাজপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন৷
দোকানকর্মী জিতেন্দ্রনাথ সাহার অভিযোগ, তিনি কাউন্সিলরকে চিনতেন না৷ দোকানে এসে তিনটি শিঙারা কেনেন শেখ নাজিরউদ্দিন৷ শিঙারা দেওয়ার পর অতিরিক্ত এক প্যাকেট চাটনি চান ওই তৃণমূল কাউন্সিলর৷ তা দিতে অস্বীকার করতেই ওই কাউন্সিলর তাঁকে সপাটে চড় মারেন বলে অভিযোগ দোকানকর্মী জিতেন্দ্রনাথ বাবুর৷ তিনি বলেন, ‘উনি আমাকে বললেন, চিনিস আমি কে? এর পরই এত জোরে চড় মারলেন যে আমি মাটিতে পড়ে যাই৷’
advertisement
এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা৷ কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে পুলিশ৷ শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের চাপেই অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ এর পর ওঠে অবরোধ৷
পরে অবশ্য ওই তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগকারী দোকানকর্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন৷ যদিও চড় মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর৷ তাঁর দাবি, ‘আমি চাটনি চাইতেই ওই দোকানকর্মী আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দেন৷ তখন আমি ওনাকে একটা ঠেলা মারি, কিন্তু চড় আমি মারিনি৷ তার পরেও আমি ভুল স্বীকার করে নিই৷ তা সত্ত্বেও এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে৷’