এ ছাড়াও দিনহাটা, বোলপুর, টাকি সহ রাজ্যের বহু পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ৷ তৃণমূল (TMC) শিবিরের অবশ্য দাবি, প্রার্থী খুঁজে না পেয়েই এমন অভিযোগ করছে বিজেপি সহ বিরোধীরা৷
বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভার ১৬টির মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি সহ বিরোধীরা৷ শুধুমাত্র তিনটি ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে৷ ফলে ওই পুরসভায় ১৩টি ওয়ার্ডেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়ার পথে তৃণমূল৷ যার অর্থ সাঁইথিয়া পুরসভা দখলের পথে তৃণমূল৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'দিদিই থাক', ভোটের আগে পুরনো বিজেপি-র নামে ব্যানারে ছেয়ে গেল শিলিগুড়ি
একই ভাবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বজবজ পুরসভার কুড়িটির মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডেই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি৷ ফলে ওই পুরসভাও কার্যত দখল করে নিল শাসক দল৷ উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটা পুরসভার সাতটি ওয়ার্ডে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ৷
এ দিনই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল৷ মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি৷ শেষ পর্যন্ত কটি ওয়ার্ড বা পুরসভা তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করল, ১২ তারিখের পরই তা স্পষ্ট হবে৷
এর পাশাপাশি বোলপুর পুরসভার ২২টির মধ্যে ১৯টি ওয়ার্ডেই ততাঁরা প্রার্থী দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ উত্তর চব্বিশ পরগণার টাকি এবং বসিরহাট পুরসভাতেও যথাক্রমে চারটি এবং একটি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি বলে শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ৷
আরও পড়ুন: চার পুরনিগমের ভোট নিয়ে স্বস্তি, আদালত অবমাননার মামলা খারিজ হাইকোর্টের
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'সর্বত্র মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে এসডিও, বিডিও-রা চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন৷ এর মধ্যেও রাজ্যের অধিকাংশ জায়গাতেই বিজেপি নেতা কর্মীরা প্রার্থী দিয়েছে৷' কাঁথি পুরসভায় বিজেপি বিপুল জয় পাবে বলেও এ দিন দাবি করেছেন বিজেপি নেতা৷
বিরোধীদেক মনোনয়ন জমা না দিতে পারার অভিযোগে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও৷ তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনে আছে কী হয়েছিল? গোটা রাজ্যে বিরোধীশূন্য জয় পেয়েছিল তৃণমূল৷ পুলিশ কাঠের পুতুল হয়েছিল৷ এবারেও তাই হবে৷'