সেই বিশ্বাসে ভর করেই সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি বাংলাদেশ থেকেও বহু ভক্তরা আসেন এখানে, মায়ের দর্শন করতে। এই মন্দিরে এসে মায়ের লোহার বালা পরলে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীরা ভাল হয়ে যান বলেই মানুষের বিশ্বাস। সেই কারণেই সিদ্ধেশ্বরী মা এখানে ক্ষ্যাপা কালী নামে পরিচিত।
advertisement
কথিত আছে, সারদা মায়ের বৌদি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে আনা হয়েছিল ক্ষ্যাপা কালীর কাছে। দেবীর আশীর্বাদেই নাকি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। মায়ের মন্দিরের পাশে রয়েছে একটি পুকুর। কোন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে ওই পুকুরে স্নান করিয়ে তার সুস্থতা কামনায় মানত করে পুজো করা হয়। এরপর মায়ের লোহার বালা পরানো হয় তাকে। একবছর পর সেই বালা মায়ের মন্দিরে এসেই খুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে।
সারাবছর এখানে মায়ের নিত্য পুজো হলেও দীপান্বিতা অমাবস্যায় মায়ের বিশেষ পুজো হয়। ওইদিন গভীর রাত অবধি ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে মন্দিরে। মা কালীর কাছে বহু মানুষ এসে মানত করে যান মনস্কামনা পূরণের জন্য। বর্তমানে আরামবাগের তিরোল গ্রামের ক্ষ্যাপা কালীর মাহাত্ম্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে ছড়িয়ে রয়েছে।