গতকাল বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের বন দুবরাজপুরের পর এবার অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ মিলল ওই ব্লকেরই বিক্রমপুর এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি ওই ছাপ বাঘেরই। বন দফতর পায়ের ছাপের মাপ ও ছবি সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠাচ্ছে। যদিও বন দফতরের প্রাথমিকভাবে অনুমান বাঘ নয় ওই পায়ের ছাপগুলি আসলে বাঘরোল জাতীয় জন্তুর।
advertisement
গত বছর নভেম্বর মাসে ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় বাঘিনী। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে সেই বাঘিনী ঝাড়খন্ড হয়ে সটান এসে হাজির হয় এ রাজ্যে। তারপর দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে ঝাড়গ্রাম,পুরুলিয়ার বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় ওই বাঘিনী। বাঘিনীকে ধরতে বিস্তর চেষ্টা চালায় বনদফতর। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বন কর্মীদের ঘোল খাইয়ে অবশেষে বাঘিনী হাজির হয় বাঁকুড়ার জঙ্গলে।
গত বছর ২৯ ডিসেম্বর সেখানেই বনদফতরের গুলিতে কাবু হয়ে বাঘিনী ধরা দেয় বন দফতরের হাতে। এরপর চলতি বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে একাধিকবার বাঘ এসে পড়ার ঘটনা ঘটে বাঁকুড়া,পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের জঙ্গলমহলে বাঘের আতঙ্ক তৈরি হল। গতকাল বাঁকুড়ার সিমলিপাল ব্লকের বন দুবরাজপুর এলাকায় আলুর জমির নরম মাটিতে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গতকালের পর সিমলিপাল ব্লকেরই বিক্রমপুর এলাকায় আজ একই ধরনের পায়ের ছাপ দেখা যায়। খবর পেয়ে আজ বিক্রমপুর গ্রাম লাগোয়া আলুর জমিতে যান বন কর্মীরা। সেখানে গিয়ে পায়ের ছাপের মাপ ও ছবি সংগ্রহ করেন তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি স্বচক্ষে কেউ জন্তুটিকে না দেখলেও পায়ের ছাপ দেখে তাঁরা নিশ্চিত এই পায়ের ছাপ আসলে বাঘেরই। যদিও বনদফতর জন্তুটিকে বাঘ বলে মানতে নারাজ। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান যে পায়ের ছাপগুলি দেখা যাচ্ছে তা আসলে বাঘরোল জাতীয় কোনও জন্তুর হয়ে থাকতে পারে।
