গোপীবল্লভপুর থানার অন্তর্গত ভিলা গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ হাঁসদা ও প্রতিবেশী কেশব হাঁসদা। গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ চেয়ে গোপীবল্লভপুর বিদ্যুৎ দফতরের একটি লিখিত আবেদন করেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। তাতে কোনও কারণ বশত গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়নি বিদ্যুৎ দফতর। জানা যায় ভিলা গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে সুবোধ হাঁসদা ও প্রতিবেশী কেশব হাঁসদা সহ আর এক প্রতিবেশী বাড়ি করেছেন। গ্রাম থেকে অনেকটা দূরে বাড়ি হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে চায়নি বিদ্যুৎ দফতর।
advertisement
৯ বছর আগেও সুবোধ হাঁসদার বাবা গুরভা হাঁসদা বিদ্যুৎ সংযোগ চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিলেন। ৯ বছর ধরে ওই গ্রামের তিনটি বাড়ি অন্ধকারের মধ্যেই থাকত। অবশেষে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর ঝাড়গ্রাম শহরে অবস্থিত ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে কর্তৃপক্ষ। এরপরই নোটিশ করে ডেকে পাঠানো হয় বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজারকে। নোটিশ করে ডাকার পরই গোপীবল্লভপুর বিদ্যুৎ দফতর ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য তৎপর হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রচুর ‘খিদে’ হার্দিকের! কমার নাম নেই! এবার যা বললেন তারকা অলরাউন্ডার
মোট ১৪ টি খুঁটি পুতে ভিলা গ্রামের ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১১মার্চ মামলাটি নিষ্পত্তি হয়। ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক শক্তি সরকার বলেন,”আমাদের কাছে অভিযোগ করার পরেই আমরা একটি প্রিলিটিকেশনের মামলার রুজু করি। মাত্র চার মাসের মধ্যেই তিনটি পরিবারকে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার জন্য সমস্ত রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তিনটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি”।
বুদ্ধদেব বেরা