এ দিন দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগণার খড়দহের পাতুলিয়ার গভর্মেন্ট কোয়ার্টারে৷ প্রবল বৃষ্টির (Rainfall in West Bengal) জেরে ওই দম্পতির ঘরের ভিতরে জল জমেছিল৷ ঘরের মধ্যে জল জমে থাকা ফ্রিজের বিদ্যুৎ সংযোদ বিচ্ছিন্ন করতে যান গৃহকর্তা রাজা দাস (৩৯)৷ তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি৷ স্বামীকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে তাঁকে বাঁচাতে যান স্ত্রী পৌলমী দাস (৩৫)৷ বাবা- মাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে এবারে এগিয়ে যায় তাঁদের বড় ছেলে এগারোর বছরের শুভ দাস৷ বাবা- মায়ের মতো একই পরিণতি হয় ওই বালকেরও৷
advertisement
আরও পড়ুন: মুক্তি নেই, শক্তি বাড়িয়ে আবার ফিরছে রাক্ষুসে বৃষ্টি! দিন-সময় জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
চোখের সামনে বাবা মা এবং দাদাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে ওই দম্পতির চার বছরের ছোট ছেলে৷ সে তখন খাটের উপরে বসেছিল৷ ওই শিশুটির কান্নাকাটির শব্দেই প্রতিবেশীরা এসে রাজা, পৌলমী এবং তাঁদের বড় ছেলে শুভকে ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন৷ প্রতিবেশীরাই ততক্ষণাৎ তিনজনকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুরের বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানেই চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে৷
মর্মান্তিক এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ বাবা, মা, দাদা যে আর কোনওদিন ফিরবে না, তা বুঝতে না পারলেও গোটা ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছে ছোট্ট শিশুটি৷ অনাথ শিশুটির ভবিষ্যৎ নিয়েই এখন উৎকণ্ঠায় তার আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা৷
উত্তর চব্বিশ পরগণার টিটাগড়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চোদ্দ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে৷ দিদিকে পড়াতে দিয়ে ফেরার পথে রাস্তায় জমা জলের মধ্যে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ওই কিশোর৷ জলের মধ্যে যে বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে, তা বুঝতেপারেনি সে৷ তার ছিঁড়ে পড়লেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কেন বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷
Arun Ghosh
