এক টোটো চালক এই বিষয়ে বলেন, “এইভাবেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আমরা পারাপার করি, কী করববলুন এভাবেই যাতায়াত করি, কয়েক কিলোমিটার পথ কম হয়। প্যাসেঞ্জার নিয়ে গেলে আগে এপাড়ে নামিয়ে দিই।খালি টোটো নিয়ে ওপারে গিয়ে আবার প্যাসেঞ্জার তুলি। একটা স্থায়ী ও মজবুত সেতু তৈরিহলে আমরা উপকৃত হব”। বর্ষাকালে ভয়াবহ আকার ধারণ করে এই নদী। ব্রহ্মাণীর জলেপ্লাবিত হয় আসপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম। সেই সময় এই নদী পারাপারের জন্য একমাত্র ভরসা ছোট্ট একটি নৌকা। যে নৌকা করে ভরা বর্ষায় নদী পারাপার করেন দুপারের মানুষ। স্থানীয়দের কথায়, পড়ুয়ারাও এপারে চাঁন্ডুলী থেকে নদী পেরিয়ে ঘোড়ানাশ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : ছাত্রীদের আই কার্ডে এবার বারকোড! স্ক্যান করলেই বেরিয়ে আসছে…, হতবাক সকলে
এছাড়া চাষের কাজেও পারাপার করতে হয় বহু মানুষকে। নদী পারাপারের স্থায়ী ব্যাবস্থা না থাকায় বড় গাড়ি নিয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে মেইন সড়কে উঠতে হয় এই এলাকার মানুষদের। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা স্বীকার করে কাটোয়া ২ ব্লকের পূর্ত্য কর্মাধ্যক্ষ গৌতম ঘোষাল বলেন, এখানে সেতুর দাবি গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের, “অনেকবার অনেকরকম চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি। তবে আমাদের আস্থা আছে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এখানেও মানুষের সমস্যার সমাধান হবে”।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
পাশাপাশি কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার একটি স্কিমের কথাও বলেন পূর্ত্য কর্মাধ্যক্ষ গৌতম ঘোষাল। এই স্কিমের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কিছুটা সুবিধা হবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে স্থায়ী মজবুত সেতু কবে তৈরিহবে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





