এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করলে মাটির নীচে জলের স্তর নেমে গিয়ে পাম্পে ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ড জল না উঠলে, DPSS প্রযুক্তি পাম্পটিকে নিজে থেকেই বন্ধ করে দেবে। ফলে মোটা টাকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবেন পাম্পের মালিক। প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রযুক্তি বাঁকুড়ার প্রায় ১০০টিরও বেশি পাম্পে বসিয়েছেন বিপুল কুন্ডু নিজে। ইনলেট পাইপের গায়ে প্রহরীর মত লাগানো থাকবে দুটি সেন্সর। এই সেন্সর দুটি ইনলেট পাইপের মধ্যে সবসময় পরখ করতে থাকবে জলের ফ্লো। জলের পরিমাণ নির্দিষ্ট একটি মানের নীচে নামলেই ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে পাম্প। পাম্পের ভিতরেই লাগানো আছে আরও দুটি সেন্সর। এই সেন্সর গুলি ট্যাঙ্কির মধ্যে জলের লেয়ার বুঝে প্রায় নিজে থেকেই বন্ধ করে দেবে পাম্প, এবং বন্ধ হবে জলের অপচয়।
advertisement
বাঁকুড়ার দামোদরপুরের বাসিন্দা উজ্জ্বল গড়াই, তার বাড়িতে দু’দুটি কোম্পানির পাম্প বসিয়েছিলেন তিনি। জলের স্তরের তারতম্য ঘটার জন্য ড্রাই রান করে পাম্প নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় ২০০০০ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় উজ্জ্বল গড়াই-এর। বর্তমানে উজ্জ্বল গড়াই-এর বাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিপিএসএস প্রযুক্তি। তারপর থেকেই ড্রাই রান হলেও নিজে থেকেই পাম্প ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।
বাঁকুড়ার বিপুল কুন্ডু ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার করে নতুন নতুন। সমস্যার সমাধান করছেন নিত্যদিন। নিজের পেশাকে নেশায় পরিণত করে ব্যাবসার রূপ দিয়েছেন। প্রান্তিক বাঁকুড়া থেকে বাঁকুড়ার এই প্রযুক্তির নাম পোঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বড় শহর গুলিতে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী