সে কারণেই হয়তো মঙ্গলকোটের নানা এলাকা থেকে বহু পুরনো জিনিস উদ্ধার হয় বিভিন্ন সময়। আর মঙ্গলকোটের এই ইতিহাসকে টিকিয়ে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সম্রাট । তিনি বলেন, “মঙ্গলকোটের বাসিন্দা শ্রদ্ধেয় কেশব বন্দ্যোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তি আগে এই প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহ করতেন। মঙ্গলকোটের প্রাচীন ইতিহাস তিনি তুলে ধরতেন। তাঁকে দেখেই আমার এই বিষয়ে আগ্রহ বেড়েছিল।” সম্রাট এত বছর ধরে বিভিন্ন সময় নানা জিনিস খুঁজে পেয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে পুরনো দিনের মুদ্রা, তালপাতার পুঁথির টুকরো, পুরানো যুগের মূর্তি থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন জিনিস। এমনকি মঙ্গলকোট থেকে তিনি স্বর্ণমুদ্রাও খুঁজে পেয়েছিলেন। যদিও সেই মুদ্রা তিনি সরকারের কাছে জমা করেছেন। স্বর্ণমুদ্রা সহ আরও বহু জিনিস তিনি সংগ্রহ করে সরকারকে দিয়েছেন। তবে এখনও কিছু পুরানো কয়েন রয়েছে যেগুলো তিনি নিজের কাছে রেখেছেন।
advertisement
মঙ্গলকোটে মিউজিয়াম তৈরি হলে সেই কয়েন তিনি সেখানে রেখে দেবেন বলেই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত পেয়েছি জীবাশ্ম, বিভিন্ন মুদ্রা, মূর্তি, মাটির পাত্র-সহ আরও অনেক কিছু। সেই সমস্ত জিনিস বিভিন্ন যুগের। আমি স্বর্ণমুদ্রাও পেয়েছি, সেটা সরকারের হাতে তুলে দিয়েছি। কখনও মনে হয়নি নিজের কাছে রেখে দেওয়ার। কারণ আমি চাই ইতিহাস সবাই জানুক, নতুন প্রজন্ম এই ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করুক।”
মঙ্গলকোটের অনেকেই চেনেন সম্রাটকে। এখনও কোনও মূর্তি বা পুরানো জিনিস উদ্ধার হলেই ডাক আসে তাঁর। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব খুঁজে বার করার এহেন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। সম্রাট মুন্সির কথায়, আগামী দিনেও তিনি এই ধরনের কাজ চালিয়ে যাবেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী