জানা যায়, রাজার মেয়ে ভাদুর এই মিষ্টান্ন খাজা খুবই প্রিয় ছিল। তাই ভাদু উৎসবের মুখ্য প্রসাদে আজও খাজা আজও অন্যতম। আর তাই ভাদু উৎসবের আগে এখন সেই খাজা তৈরি হচ্ছে কাশীপুরে। কাশীপুরের দোকান ব্যবসায়ীরা মেতে উঠেছেন রাজার মেয়ের প্রিয় মিষ্টান্ন খাজা তৈরিতে। প্রাচীন ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখে এখনও এই মিষ্টান্ন তৈরি করে চলেছেন কাশীপুরের অন্যতম মিষ্টির দোকান দিলীপ সুইট’স। দোকান ব্যবসায়ী তাপস দাস মোদক জানান, ভাদু উৎসবের কিছুদিন আগেই এই খাজা তৈরি হয়।
advertisement
বছরের শুধুমাত্র এই সময়টিতেই খাজা তৈরি হয় কাশীপুরে। তাই চাহিদাও বিপুল থাকে। আগের তুলনায় এই খাজার চাহিদা এখন আরও বেশি বেড়েছে মানুষজনের কাছে। দামও রাখা হয়েছে মানুষের সাধ্যের মধ্যে, মাত্র দশ টাকা। আতপ চালের গুঁড়ো, সামান্য একটু ময়দা, চিনি, বিশুদ্ধ গাওয়া ঘিয়ের সংমিশ্রনে তৈরি এই খাজা এখন অন্যতম প্রিয় মিষ্টান্ন হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান ছাড়াও ঝাড়খণ্ডে ভাদু উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়ে থাকে।