১ জুন রবিবার রাতে রাজাপুর থানার ঘোষালচক এলাকায় হালদারপাড়ায় একটি বাড়িতে বাড়িতে চোর ঢুকেছে খবর পায় পুলিশ। তৎক্ষণাৎ রাজাপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছান ঘটনাস্থলে। পুলিশ চোরটিকে হাতেনাতে ধরে করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সে নিজের নাম ভুল বলছিল। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপরে দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পরে অভিযুক্ত জানায় তার নাম অমিত দত্ত। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানায় এলাকায় ভেটকাখালি গ্রামে বাড়ি। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অমিত দত্তকে নিয়ে তার বাড়িতে যায় তদন্তের স্বার্থে। সেখানে গিয়েই পুলিশের চোখ কপালে।
advertisement
পুলিশের দাবি অনুযায়ী সংবাদমাধ্যম এলাকায় গিয়ে দেখে সত্যিই গ্রামের সরু ঢালাই রাস্তার মধ্যে এক রাজপ্রাসাদও বটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন অভিযুক্ত অমিত আনুমানিক ১৩ থেকে ১৪ বছর আগে তিনি মহেশতলা থেকে সাতগাছিয়া বিধানসভার চকমানিকের ভেটকাখালিতে জায়গা কিনে ঘর করেন। এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে ব্যবহার ভাল ছিল। প্রতিবেশী কারও সাথে কোনওদিন ঝগড়া হয়নি। নিজের সমবয়সী লোকেদের সঙ্গে মিশতেন। তবে অমিতবাবু কি কাজ করতেন এই বিষয়ে স্থানীয়রা কেউ কিছুই জানতেন না। পুলিশ তার বাড়িতে যাওয়ার পরই স্থানীয়দের মধ্যে চাউর হয় গোটা ঘটনা। অভিযুক্ত অমিত দত্ত বাড়ি থেকে যখন বের হতেন, একেবারে সাধারণ পোশাকে সাইকেল নিয়ে বের হতেন।
যখন প্রথম এসেছিলেন তখন টিনের ঘর ছিল। অভিযুক্ত অমিত নিজের স্ত্রী ছেলে এবং বৌমাকে নিয়ে বাস করতেন। যেহেতু অভিযুক্ত অমিত দত্ত কী কাজ করতেন স্থানীয়রা জানতেন না, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে স্থানীয়দের মনে খটকা ছিল কোনও কাজ না করেই কীভাবে এত বড় রাজপ্রাসাদ তৈরি হচ্ছে?অভিযুক্ত অমিত দত্তের স্ত্রী জানান, কী ঘটনা ঘটেছে তিনি জানেন না, চুরির ঘটনার বিষয়েও পরিবারের লোকজন কিছু বলতে পারবেন না।