ঘটনার সূত্রপাত দু'দিন আগে, হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা শেখ শরিফুলের স্ত্রীর গয়না চুরি যায় | থানায় অভিযোগ দায়ের করে শরিফুলের শাশুড়ি | এরপর তদন্তে নামে শ্যামপুর থানার পুলিশ। তদন্তে দেখা যায়, শেখ শরিফুল-ই তাঁর স্ত্রীর সোনার গয়না চুরি করেছিল। এরপর শরিফুলের শাশুড়ির অভিযোগে পুলিশ শেখ শরিফুলকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাকে শ্যামপুর থেকে পুলিশ একটি অটো করে উলুবেড়িয়া আদালতে নিয়ে আসছিল। হঠাৎ করেই উলুবেড়িয়া কোর্টে ঢোকার মুখে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে সামনের পানাপুকুরে ঝাঁপ দেয় শরিফুল। হৈচৈ পড়ে যায় এলাকায়।
advertisement
গোটা পুকুর ঘিরে ধরে টান-টান নাটকের মজা নিতে থাকে উৎসাহী মানুষজন। দীর্ঘক্ষণ এদিক থেকে ওদিক সাঁতরে পালানোর চেষ্টা করলেও ঘণ্টা খানেকের নাটকের অবসান ঘটে, শেখ শরিফুল নিজেই পালানোর আশা ক্ষীণ হতে দেখে ধরা দেয় পুলিশের হাতে। এরপর জলে ভেজা স্ত্রীর গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া শরিফুলকে উলুবেড়িয়া কোর্টে হাজির করানো হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন একজন অভিযুক্তকে অটো করে আদালতে নিয়ে আসছিল পুলিশ? নিরাপত্তার ঢিলেমির অভিযোগে বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পরে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ | বিচারক পুলিশের কাছে জানতে চান, যদি জলে পরে অভিযুক্তের মৃত্যু হত, তাহলে এই মৃত্যুর দায় কে নিত? এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি |
সূত্রের খবর শ্যামপুর থানা হোক বা গ্রামীণ পুলিশের প্রতিটি থানায় একটি থেকে দুটি গাড়ি আছে। ফলে আসামীদের কোর্টে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সেই গাড়ি ব্যবহার করলে এলাকায় পুলিশ টহলের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে | একাধিক আসামি বা অভিযুক্ত থাকলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে প্রিজন ভ্যানের সাহায্য নেওয়া হয় ।