ইতিহাস বলে, ১৯৩৮ এর ১১ এপ্রিল কলকাতা থেকে ট্রেন পথে পাঁশকুড়ায় এসে নামেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেখান থেকে তিনি গাড়িতে করে তমলুক শহরে পৌঁছন। তমলুকে তিনি রাজবাড়ির অন্তরে খোসরঙের মাঠে স্বদেশী কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সমর্থনে সভা করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তমলুকের রাখাল গ্রাউন্ডে সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশ তমলুকে নেতাজির সভা বানচাল করার জন্য মাঠের মালিককে ভয় দেখান। ব্রিটিশ পুলিশের অত্যাচারের ভয়ে নেতাজির সভা করার জন্য মাঠের অনুমতি দেওয়ার পরও পিছু হটেন মাঠের মালিক। তমলুকের কংগ্রেস নেতারা শরণাপন্ন হয় রাজা সুরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের। রাজবাড়ির অন্দরে আম গাছের বাগান কেটে সভাস্থল তৈরি করা হয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সভা করার পর তমলুকের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। পৌরসভা, বর্গভীমা মন্দির, তমলুকের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম মিশন।
advertisement
তাম্রলিপ্ত পৌরসভায় এসে নেতাজি পৌরসভার প্রশাসকের চেয়ারে বসেন। কিছুক্ষণ তৎকালীন পৌরসভা পরিচালন কমিটির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পৌরসভায় নেতাজি যে চেয়ারটিতে বসেছিলেন সেই চেয়ারটি সযত্নে তুলে রাখা হয়েছে পৌরসভায়। বর্তমানে পৌরসভার পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। কাঁচের শো কেসের ভিতরে চেয়ারটি রাখা হয়েছে।