এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভাড়াটে অমিত বাগদি এবং তাঁর সহযোগী কুবির গড়াই ওরফে রবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ গত বুধবার গভীর রাতে জামালপুরের আবুজহাটি এলাকায়৷
আরও পড়ুন: বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, হঠাৎ বুকে এসে লাগল গুলি! কানাডায় ভারতীয় ছাত্রীর মর্মান্তিক পরিণতি
পুলিশ সূত্রে খবর, আবুজহাটি এলাকায় নীলাদ্রি সরকার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা অমিত বাগদি৷ ওই চটকলেরই কর্মী ছিল রবি৷ স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় রবিই নীলাদ্রিবাবুর বাড়িতে অমিতের ভাড়া থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল৷
advertisement
দিন সাতেক আগে বাড়ি ভাড়া বাবদ পাওনা টাকা মিটিয়ে ওই ঘর ছেড়ে দেয় অমিত৷ কিন্তু ঘর ছাড়ার পরেও বিদ্যুতের বিল বাবদ ২৪০০ টাকা চেয়ে বার বার তাগাদা দিচ্ছিলেন নীলাদ্রিবাবু৷ তাতেই বিরক্ত হয়ে নীলাদ্রিবাবুকে খুনের ছক কষে অমিত৷ সেই মতো গত বৃহস্পতিবার রাতে মল্লারপুর থেকে ট্রেন ধরে জৌগ্রাম স্টেশনে পৌঁছয় অমিত৷ সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল রবি৷ দু জনে স্টেশনেই অপেক্ষা করতে থাকে৷
ভাড়া থাকার সুবাদে অমিত জানত, প্রতিদিনি রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ বাথরুমে যাওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে বের হতেন নীলাদ্রি বাবু৷ সেই মতো রাত তিনটে নাগাদ রবিকে নিয়ে নীলাদ্রিবাবুর বাড়ির কাছে পৌঁছয় রবি৷ পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতরে ঢুকে অপেক্ষা করতে থাকে দুজনে৷
কিছুক্ষণের মধ্যেই অভ্যাসবশত বাড়ির বাইরে বের হন নীলাদ্রিবাবু৷ তখনই তাঁর উপরে অতর্কিতে হামলা চালায় অমিত৷ ধাক্কা মেরে ওই বৃদ্ধকে মাটিতে ফেলে দেয় সে৷ এর ফলে অচৈতন্য হয়ে যান তিনি৷ ধস্তাধস্তির আওয়াজ পেয়ে নীলাদ্রিবাবুর স্ত্রী মীরাদেবী বাড়ির বাইরে আসেন৷ নীলাদ্রিবাবুকে ওই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে ওঠেন তিনি৷ তখনই একটি মুগুর দিয়ে তাঁর মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত করে অমিত ও রবি৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর৷
ঘটনার খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ গিয়ে মীরাদেবীর মৃতদেহ এবং অচৈতন্য অবস্থায় নীলাদ্রিবাবুকে উদ্ধার করে৷ নীলাদ্রি সরকারকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরে বর্ধমান মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। এর পর নীলাদ্রিবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত অমিত এবং রবিকে গ্রেফতার করে জামালপুর থানার পুলিশ৷