খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বনদফতরের কর্মীরা। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম বিজু মুর্মু। বয়স আনুমানিক ৩২ বছর। ওই ব্যক্তির বাড়ি ঝাড়গ্রামের মাসাংডিহি গ্রামে। ওই গ্ৰামের বাসিন্দা সন্দীপ মাহাতো বলেন আজ সন্ধ্যা বেলায় এলাকায় কয়েকটি হাতি প্রবেশ করে এবং হাতির নজরদারি রাখার জন্য বনদফতরের কর্মীরা হাজির হন। সেই সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এর পর ওই অস্থায়ী বন কর্মীকে নিয়ে আসা হয় ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালে চিকিৎসার সময় মৃত্যু ঘটে ওই ব্যক্তির।
advertisement
বীরেন মাহাতো বলেন,”হঠাৎ দেখি রাস্তার পাশে চিৎকার। সেই চিৎকার শুনে ছুটে যাই ওই এলাকায়, তখন দেখি বনদফতরের কর্মীরা সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পরে জানতে পারি হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক অস্থায়ী বন কর্মীরা। ঝাড়গ্রামে অনবরত বেড়ে চলেছে হাতির আক্রমণের সংখ্যা। জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার আরটিআই রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় ২০২১-২০২২ থেকে ২০২৪- ২০২৫ সাল পর্যন্ত জঙ্গলমহলে হাতির আক্রমণের মৃত্যুর সংখ্যা ৬৩ জন। জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার কেন্দ্রীয় সভাপতি অশোক মাহাত বলেন সরকারের স্থায়ী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান অসম্ভব তাই অবিলম্বে হাতি ও মানব সুরক্ষায় উদ্যোগী হোক সরকার।
জঙ্গলমহলে হাতির আক্রমণের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ায় চিন্তায় বনদফতর, বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির জেরে ভীতসন্ত্রস্ত পড়েছে জঙ্গল লাগোয়া এলাকার মানুষ। তাদের দাবি এখন বাড়ি থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে। দিনরাত সর্বত্রই হাতির আক্রমণ লেগে রয়েছে এলাকা জুড়ে। এখনও পর্যন্ত বন দফতরের থেকে হাতির আক্রমণ ঠেকাতে সেভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এমনটাই অভিযোগ করছেন তারা। কবে এই ঘটনার সমাধান হবে তারাই অপেক্ষায় দিন গুজরান করছে এখানকারকার বাসিন্দারা।