সহজ পাঠের ছবিকে প্রাণবন্ত এবং ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মনের মত করে নতুনভাবে এঁকেছেন এক ব্যক্তি। তিনি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের কর্মী। নিজের কাজের অবসরে ক্যালেন্ডারের পিছনের সাদা অংশে কালো মার্কার পেন দিয়ে এক টানে এঁকেছেন নন্দলাল বসুর এই ছবিগুলোকে। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আরও হৃদয়গ্রাহী করতে তিনি চোখ মুখ এঁকে সহজতরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তার এই শিল্প কর্ম এবং অবসরযাপনের এই ভাবনাকে প্রশংসা করেছেন অফিসের আধিকারিক থেকে সাধারণ মানুষ। নিজের খরচে শিক্ষকদের চাহিদা মত ছাপিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন তার হাতে আঁকা নানা ছবি।
advertisement
আরও পড়ুন: ময়নাগুড়ির দুর্গাপুজায় এবার নতুন মাত্রা কলকাতার শিল্পীদের! রং তুলিতে উত্তরবঙ্গের চিত্র
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের হেমচন্দ্র সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের কর্মী শিক্ষাবন্ধু শঙ্কর কুমার পাল। সারাদিন থাকে অফিসের নানা ব্যস্ততা। তবে তার কাজ শিক্ষা কেন্দ্রিক। শিক্ষার বিষয় নিয়ে প্রতিদিন কাজ করে যেতে হয় তাকে। শুধু তাই নয়, ছোট ছোট শিশুদের শিক্ষার বিভিন্ন পরিকাঠামো বিদ্যালয় পৌঁছে দেওয়া তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তবে তিনি ভেবেছেন নন্দলাল বসুর এই ছবিগুলোকে আরও সহজতর ভাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার। সেই মতঅবসর সময়ে বিভিন্নভাবে না কাটিয়ে তিনি নিজের টেবিলে বসেই অব্যবহার্য ক্যালেন্ডারের পেছনের মোটা সাদা কাগজে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন সহজপাঠের সব ছবিগুলো। স্বাভাবিকভাবে তার এই কৃতিত্বকে সম্মান জানিয়েছেন অফিসের আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত প্রথাগতভাবে অঙ্কন শিক্ষার তালিম নেই শঙ্কর বাবুর। নিজের ভাবনা থেকেই ফুটিয়ে তোলেন নানা ছবি। তার অফিসে কোনায় কোনায় টাঙানো রয়েছে তার আঁকা ছবিগুলো। অফিসে আসা বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষা কর্মীরা তার ছবি ঘুরে দেখেন। তার হাতের আঁকা ছবি যেন প্রাণবন্ত।
রঞ্জন চন্দ