সপ্তাহখানেক আগে কুলতলির নলগড়া ৬ নম্বর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ওই পার্শ্ব শিক্ষিকাকে স্কুলেরই একটি ঘরে আটকে রেখে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা, এসএসসি-রাজ্য-সহ সবপক্ষকে নোটিশ ধরাতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের! বড় খবর
ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন তিনি। রাজ্য পার্শ্ব শিক্ষক সমন্বয় সমিতি এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সব মহলে স্পিড পোস্ট এবং ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন বারুইপুরের বাসিন্দা ওই পার্শ্ব শিক্ষিকা। বারুইপুর থানায় ডায়েরিও করেছেন তিনি। পুলিশের তরফে শিক্ষিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই শিক্ষিকা বলেন, স্কুলে যেতে ভয় করছে। যাতে নিরাপদে কাজটা করতে পারি, প্রশাসন সেই ব্যবস্থা করুক।
advertisement
আরও পড়ুন: মুখ খুললেই পচা দুর্গন্ধ? মুখে বাজে গন্ধ কিন্তু বড় রোগের লক্ষণ! জানুন
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, হেনস্থার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, ওই শিক্ষিকা দিনের পর দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন, এই অভিযোগ তুলে অভিভাবকদের একাংশ কুলতলি থানায় আগেই গণ-প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছিলেন। শিক্ষিকার অবশ্য দাবি, পার্শ্বশিক্ষিকা হিসাবে যেটুকু কাজ করার কথা, তা তিনি করেন। স্থানীয় বিধায়ক গণেশ মণ্ডলের দাবি। উনি যদি নিয়মিত স্কুলে আসেন এবং কাজ করেন, নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসন অবশ্যই নেবে। এই অভিযোগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ মাইতি মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “স্কুলের পঠনপাঠনের কী ভাবে আরও উন্নতি হয়, সেটাই আমার লক্ষ্য।”
সুমন সাহা