তারাপীঠে মা তারাকেই পুজো করা হয় কালীরূপে। সব দেবীর ঊর্দ্ধে মা তারা, এই বিশ্বাসে তারাপীঠে কোনও মূর্তি পুজোর চল নেই। মা তারাকে সামনে রেখেই সমস্ত পুজো করা হয় তারাপীঠে। দীর্ঘদিন থেকে এই প্রথা চলে আসছে। তারাকে শ্যামারূপে পুজো করা হয়।
আরও পড়ুন-ভক্তের জোয়ারে সকাল থেকে পুজোর ব্যস্ততা দক্ষিণেশ্বরে, নিয়মের কড়াকড়ি মেনেই ভবতারিণী আবাহন
advertisement
প্রতিবছরেই এই দিনে মা তারাকে ভোরবেলা স্নান করানো হয়। মা কে অষ্টধাতুর মুখাভরন, মুণ্ডমালা, মুকুট, সোনার অলঙ্কার, শোলা ও ফুল মালা দিয়ে শ্যামা রূপে সাজানো হয়। এরপর শুরু হয় মঙ্গলারতি। দেওয়া হয় শীতলভোগ।
সন্ধ্যারতির আগে মা’কে পুনরায় ফুল মালা দিয়ে সাজানো হয়। কখনও ডাকের সাজে সাজানো হয় মাকে। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, শ্যামা পুজোয় নাটোরের পুরোহিত এবং মন্দিরের পালাদার সেবাইত পুজোয় বসেন। একদিকে চণ্ডীপাঠ আর অন্যদিকে চলে পুজো। পুজো শেষে মায়ের আরতির পাশাপাশি দ্বিতীয়বার ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগে পোলাও, খিচুড়ি, মাছ, মাংস,মদ, পোড়া শোল মাছ, পাঁচ রকম ভাজা ,মিষ্টি, পায়েস দেওয়া হয়।
মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় জানান এদিন কালী পুজো উপলক্ষে সেবাইতদের বাড়ির মেয়েরা মন্দিরের চারিদিক মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করে তোলে। সারারাত মোমবাতি আর মাটির প্রদীপে আলোকময় হয়ে থাকে শ্মশান চত্বর। রাতভোর চলে যজ্ঞ।
এদিকে শ্মশানের বিভিন্ন জায়গায় সাধুসন্তরা ভক্তদের মঙ্গল কামনায় যজ্ঞ করে থাকেন। কেউ কেউ শ্মশানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দ্বারকা নদীতে প্রদীপ ভাসিয়ে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে। সারাদিন তো বটেই রাতে ও মাকে শ্যামা রূপে পুজো দেওয়া হয়। সারা রাত খুলে রাখা হয় মন্দিরের দরজা। এদিন যতক্ষণ ভক্ত ততক্ষনই মায়ের দরজা খোলা। তবে মানতে হবে কোভিড বিধি।