বীরভূমের এই নদীতে যাতে ১২ মাস জল থাকে তার জন্য চেকড্যাম নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। অন্যদিকে ঘাটের সৌন্দর্যের জন্য পাশে জামা কাপড় বদলানোর জন্য মহিলাদের পৃথক ঘর তৈরি করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ব বাংলা লোগো এবং লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেম বসান হয়েছে যেখানে ভক্তিমূলক গানের তালে ফোয়ারা ও লাইট জ্বলে ওঠার ব্যবস্থা করা হয়। এরপরই ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট কৌশিকী অমাবস্যার আগের দিন বিশ্ববাংলা ঘাটের উদ্বোধন করে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। উদ্বোধনের পর বেশ কয়েকদিন এই ঘাট চালু থাকলেও বর্তমানে এই ঘাটের অবস্থা বেহাল।
advertisement
আরও পড়ুন: ধনী-গরিব, সবাই সমান! সকলকে পড়তে হয় খোলা আকাশের নিচে, এমন শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে কেবল বীরভূমেই
বর্তমানে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকে ঘাটে নামার সিঁড়িগুলিতে। পাশেই দ্বারকার ধারের হোটেল ও লজের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে দেদার। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ এবং প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার মানা করা হচ্ছে নোংরা আবর্জনা না ফেলার জন্য তবুও সেই সব কথা তোয়াক্কা না করে আবর্জনা ভরে উঠেছে দ্বারকা নদী। স্থানীয় মানুষ বলছেন, উদ্বোধনের পর থেকে খুব কম দিনই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড চলেছে এখানে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আগে জলের পাইপ দিয়ে বিশ্ব বাংলার লোগো সহ এলাকা সাফাই হত। কিন্তু এখন সেসব পুরোপুরি বন্ধ। ঘাটে নামার গেটে তালা ঝুলছে। গেটের বাইরে বেআইনি ভাবে, সারি সারি দিয়ে বসেছে দোকানপাট। ইলেকট্রিক বোর্ড ভেঙে ঝুলছে। রাতে ঘাটের সিঁড়িতেই অনেকে টয়লেট করছেন। যদিও এই বিষয়ে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, সামনেই ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যার আগে আবার সংস্কার করা হবে বিশ্ববাংলা ঘাটের।
সৌভিক রায়