কারণ সোমবার জল্পনাকে সত্যি করেই তৃণমূলে যোগ দিলেন হলদিয়ার বিধায়ক৷ ঘাসফুলের পতাকা হাতে নিয়ে অবশ্য মুখে তিনি দাবি করেছেন, বিধায়কের টিকিট পাওয়ার জন্য তিনি লালায়িত নন৷ আবার একই সঙ্গে দাবি করেছেন, তৃণমূলে এসে এতদিন হলদিয়ার মানুষের জন্য যে কাজগুলি করতে পারেননি, সেগুলি করতে চান৷
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছিল শাসক দলের বিধায়ক, সাংসদদের৷ সেই দলে নাম লেখান হলদিয়ার বাম বিধায়ক তাপসীও৷ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মেদিনীপুরের যে সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন, সেই সভাতেই বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন তাপসী৷ এ দিন অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতাকেই সবথেকে বেশি আক্রমণ করেছেন হলদিয়ার বিধায়ক৷
advertisement
তাপসী অভিযোগ করেন, ‘২০১১ সাল থেকে আমি হলদিয়ায় সিপিএমের কাউন্সিলর ছিলাম৷ তখন এবং তার পর ২০১৬ সালে বিধায়ক হওয়ার পরেও শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বেই আমাকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হত না৷ আবার ২০২১ সালে যখন বিজেপিতে যোগ দিলাম, তখনও শুভেন্দু অধিকারী কোনও স্বাধীনতা দেননি৷ আমার দলের কর্মীদের জন্য যে আমি কিছু করব, আমার সেই স্বাধীনতাটুকু ছিল না৷হলদিয়ার মানুষ আমাকে পর পর দু বার জিতিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে কাজ করে এবার আমি তাঁদের জন্য কিছু করতে চাই৷’ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগও তুলেছেন তাপসী মণ্ডল৷
যদিও তাপসী মণ্ডলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷ তাঁর হুঙ্কার, ‘মুকুটমণি অধিকারীকেও দলে নিয়ে লোকসভা ভোটে দাঁড় করিয়েছিল৷ ২ লক্ষ ভোটে হারিয়েছি৷ কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাসদেরও একই অবস্থা হয়েছে৷ হলদিয়া থেকে দাঁড়াক না, ওনাকেও হারিয়ে ছাড়ব৷’
সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই হলদিয়া বন্দরের শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে বিজেপির মধ্যেই মতবিরোধ তৈরি হয়৷ তাপসী মণ্ডলের সঙ্গে তমলুকের নতুন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতবিরোধও তৈরি হয়৷ এর পরই তাপসীর সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল৷ শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলনেতার জেলায় বিজেপিকে ধাক্কা দিল তৃণমূল৷