প্রসঙ্গত, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত এখনও পুরোদমে শুরুই হয়নি। তার আগেই এই মামলায় নয়া মোড় নিল বুধবার। তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী সেফাল বৈষ্ণব ওরফে নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ দাবি করেছে, নিরঞ্জনের দেহের পাশ থেকে নাকি একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে তাঁরা। তবে সিবিআই তদন্তকারীরা ঝালদায় পৌঁছানোর ঠিক আগেই প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যুতে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৩ হাজার ৬০০ কোটি! চলতি অর্থবর্ষে মদ বিক্রিতে রেকর্ড আয় রাজ্যের, দেশিতেও দারুণ মুনাফা
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তপন কান্দু হত্যার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগানকে একটি চিঠিও দিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার দুপুর তিনটের সময় পুরুলিয়া পুলিশের সুপার সেলভামুরুগানসহ বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা ঝালদা থানায় এসেছিলেন। প্রায় চার ঘণ্টা সেখানে ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। মৃত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবী জানান, তিনি শুনেছেন যে জেলা পুলিশ সুপারের কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়েছেন সিবিআই তদন্তকারীদের। আর বুধবার থেকেই পুরোদমে ওই মামলার তদন্ত শুরু করতে চলেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: সরে দাঁড়াল আরও এক ডিভিশন বেঞ্চ, SSC মামলায় হাই কোর্টে বেনজির ঘটনা!
এরই মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের মৃত্যুর ঘটনা রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। নিরঞ্জনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, মানসিক চাপের থেকেই নিরঞ্জন এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। দেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকেও বাধার মুখে পড়তে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালে বাচ্চাদের পড়াতেন নিরঞ্জন। কিন্তু আজ সকালে পড়ুয়ারা এসে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।