প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ৬মে বালি এলাকায় খুন হন তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। এলাকায় জলাভূমি ভরাট বন্ধের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালানোয় প্রোমোটারদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয় তপন দত্তকে, উঠে আসে এমন অভিযোগ। সেই ঘটনার তদন্ত ভার নেয় সিআইডি৷ ২০১১ সালে অগাস্ট মাসে সিআইডি চার্জেশিটে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বর্তমানে মন্ত্রী অরূপ রায় সহ মোট ১৩ জনের নাম উঠে আসে। মূল অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক ষষ্ঠী গায়েন, আশীষ গায়েন, শ্বেতি বাপি, রমেশ মাহাতো, কার্তিক দাস। কিন্তু ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে তারা বেকাসুর খালাস হয়ে যান সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে।
advertisement
২০১১ সেপ্টেম্বর মাসে চার্জেশিট থেকে মন্ত্রী অরূপ রায় সহ মোট আট জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়। নিহতের স্ত্রীর জবানবন্দীও নেওয়া হয়। সেই তদন্ত সিআইডি করতে থাকে। কিন্তু বেকাসুর খালাস পাওয়ার পর তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত সিআইডি তদন্তের নিরপেক্ষতা ও অস্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি সিবিআই তদন্ত জন্য আবেদন করেন। ২০২২ সালে প্রায় ১১বছর পর ৯ জুন হাই কোর্টে তপন দত্ত খুনে সিবিআইকে তদন্ত নির্দেশ দেন। সেই অনুসারে সিবিআই সিআইডির থেকে এফআইআর নথি ডকুমেন্টস কপি চেয়ে পাঠালো। ওই এফআইআর অনুসারে সিবিআই দ্রুত এফআইআর করে তদন্ত শুরু করবে।