পাঁচ বছর আগে হলদিয়ায় হলদি নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মা এবং মেয়ে অর্ধদগ্ধ দেহ৷ তদন্তে জানা গিয়েছিল, মা এবং মেয়েকে একসঙ্গে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবক৷ জানা গিয়েছিল, সাদ্দাম হোসেন নামে ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মৃত রমা দে এবং তাঁর ১৮ বছরের মেয়ে জেসিকার৷
advertisement
পাঁচ বছর আগে হলদিয়ায় সাড়া ফেলে দেওয়া সেই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল তমলুক জেলা আদালত৷ ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তি দিয়েছেন বিচারক৷
২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ জানা গিয়েছিল, সাদ্দামের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল উত্তর চব্বিশ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা রমা দে নামে ওই মহিলার৷ সেই সম্পর্কের সূত্রেই রমা এবং তাঁর ১৮ বছরের মেয়ে জেসিকাকে অভিযুক্ত সাদ্দাম হলদিয়ায় নিয়ে আসে। এবং সেখানেই একটি বাড়ি ভাড়া করে তাদের রেখে দেয়।
রমার পাশাপাশি তাঁর মেয়ে জেসিকার সঙ্গেও সাদ্দাম প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। পরে সাদ্দাম জেসিকাকেই বিয়ে করে। মা-মেয়ে দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে গিয়ে তৈরি হয় বিবাদ। সাদ্দাম সব সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টাও চালায়।
শেষ পর্যন্ত ঘটনার দিন রমা দে এবং তাঁর মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হলদি নদীর পাড়ে ঝিকুরখালি এলাকায় নিয়ে যায় সাদ্দাম৷ দু জনের মৃত্যু হয়েছে ভেবে নিয়ে সে রমা দে এবং তাঁর মেয়ে জেসিকার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ এলাকার বাসিন্দারাই ঘটনার কথা জানতে পেরে সাদ্দামকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন৷
ঘটনার ৯০ দিন পরে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। পাঁচ বছর মামলা চলার পরে আজ সাজা ঘোষণা করে তমলুক জেলা আদালত। মূল অপরাধী সাদ্দাম সহ বাকি বাকি ৩ অপরাধীকে ৩০২ (খুন) এবং ৩০১(প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিল তমলুক জেলা ও দায়রা আদালত।