অন্যতম সতীপীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা। বর্তমানেও নিষ্ঠার সঙ্গে পূজিত হন মা। শক্তি পুজো শুরুর আগে রয়েছে অনুমতি নেওয়ার প্রথা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত বা তমলুকের আজও মধ্যমণি মা বর্গভীমা। কয়েক হাজার বছর ধরে শক্তি স্বরূপিণী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে দেবী বর্গভীমার আরাধনা চলে আসছে। মতান্তরে তিনি ভীমরূপা বা ভৈরব কপালী নামেও পরিচিত। অতীতের প্রায় সব কিছুই ধ্বংসের মুখে চলে গেলেও স্বমহিমায় আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে এই সুবিশাল মন্দির। ওড়িশার স্থাপত্যের আদলে এই দেউলের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট। মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার অজস্র কাজ। তার মধ্যেই মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো পাথরে তৈরি মায়ের মূর্তি বিরাজ করছেন দেবী উগ্রতারা রূপে।
advertisement
আরও পড়ুন : অবশেষে হাড়কাঁপানো শীত! কবে থেকে কনকনে ঠান্ডা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে? জানুন ওয়েদার আপডেট
তমলুকের শক্তিপীঠের প্রাচীন নাম বিভাস। দেবী এখানে বর্গভীমা বা ভীমারূপা নামে অধিষ্ঠিত। ভৈরব সর্বানন্দ মতান্তরে কপালি। ভক্তদের বিশ্বাস, মহামায়া সতীর দেহাংশের মধ্যে বাম গুল্ফ বা বাম পায়ের গোড়ালি পড়েছিল এখানে। কথিত, দেবী ভক্তদের চারটি বর্গ দান করেন, তাই তার নাম বর্গভীমা। ইংরেজি নতুন বছরের শুরুর দিনে মায়ের পুজো দিয়ে বছর শুরু করতে চান বহু মানুষ। ইংরেজি নববর্ষের শুরুর দিন দিন সকাল থেকেই শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষজন নয় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ বিভিন্ন জেলার মানুষের পুজো দিচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৫১ পীঠের একপীঠ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে মায়ের মন্দিরে পুজো অর্চনা পুষ্পাঞ্জলি শুরু হয়েছে। বেলা যত বাড়ছে, ততই মানুষের ভিড় বাড়ছে। সবাই চাইছেন, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই সকলের যেন ভাল কাটে। শুধু তমলুক শহর নয়, দূরদূরান্ত থেকে মানুষ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছেন। অঞ্জলি ও পুজো দেওয়ার পাশাপাশি বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও দোকানের মালিকরা তাঁদের ‘খাতা পুজো’-র মাধ্যমে বছর শুরু করছেন। তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে সেই ছবি ধরা পড়ল।