রোজকার রুটিন অনেকটা এইরকম। সকালে পাইকারি বাজার থেকে আনাজ কেনা, তারপর সেই আনাজ বাজারে বিক্রি। বাজার করে বাড়ি ফেরা। তারপর রান্না। তারপরও পরে শুরু জীবনের অন্য অধ্যায়। পড়াশোনা শেষ করে কলেজ। এটাই শিমুল চক্রবর্তীর জীবন। আজ-কাল-প্রতিদিন।
শিমুল চক্রবর্তী। আর পাঁচটা কলেজ পড়ুয়ার মতোই জীবনটা কাটতে পারত তাঁরও। কিন্তু কাটেনি। আবার আর পাঁচটা কলেজ পড়ুয়ার মতো পড়াশোনা না চালিয়ে অন্য কিছুও করতে পারত শিমুল। করেনি। আমতার উদং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করে কলেজে ভরতি হয়েছে।
advertisement
প্রথম থেকেই অভাবের সংসার। ২০১৬ সালে বাবা মারা যাওয়ায় পড়াশোনাই বন্ধ হতে বসেছিল। স্কুল ও টিচাররা এগিয়ে আসায় স্কুল বন্ধ হয়নি। কিন্তু সংসার? সেটা চলবে কীভাবে? আমতার উদং গ্রামে শিমুলের পরিবারেই শুরু হয় জীবনযুদ্ধ।
পড়াশোনা ও সংসার চালাতে তাই আনাজ বিক্রি শুরু করা। পরিচারিকার কাজ নেন মা। সকালে মাকে কাজে বেরতে হয়। তাই আনাজ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পর রান্নার ভার শিমুলের কাঁধেই।
এভাবেই কেটে যাওয়া স্কুলজীবন। ৮৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করে কলেজে ভরতি হওয়া।
বাবার ইচ্ছে - বাবার স্বপ্ন পূরণে পায়ে পায়ে পেরিয়ে যাওয়া অনেক পথ। সাফল্যের পথ অনেক কঠিন। কিন্তু জন লেনন তো কবেই লিখে গিয়েছেন,
ইউ মে হে আই অ্যাম এ ড্রিমার
বাট আই এ নট দ্য ওনলি ওয়ান
আই নো সামডে ইউ মে জয়েন আস
অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইউল বি ওয়ান
-- জন লেনন, ইমাজিন