TRENDING:

সকালে আনাজ বিক্রি, শিমুলের লড়াই শুরু হয় রাত নামলে...থামলে চলবে না

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#আমতা: রাতের অন্ধকারেই দিন শুরু। সবজির পসরা নিয়ে বাজারে বসা। বাড়ি ফিরে একগুচ্ছ দায়িত্ব। তারপর আবার অন্য এক জীবন। লড়াই চালাচ্ছেন শিমুল চক্রবর্তী। উচ্চ-মাধ্যমিকে ৮৬ শতাংশের বেশি নম্বর নিয়ে কলেজে ভরতি হয়েছে আমতার উদং গ্রামের ছেলে। তবে শিমুলের লড়াইটাই তাঁর জীবন।
advertisement

রোজকার রুটিন অনেকটা এইরকম। সকালে পাইকারি বাজার থেকে আনাজ কেনা, তারপর সেই আনাজ বাজারে বিক্রি। বাজার করে বাড়ি ফেরা। তারপর রান্না। তারপরও পরে শুরু জীবনের অন্য অধ্যায়। পড়াশোনা শেষ করে কলেজ। এটাই শিমুল চক্রবর্তীর জীবন। আজ-কাল-প্রতিদিন।

শিমুল চক্রবর্তী। আর পাঁচটা কলেজ পড়ুয়ার মতোই জীবনটা কাটতে পারত তাঁরও। কিন্তু কাটেনি। আবার আর পাঁচটা কলেজ পড়ুয়ার মতো পড়াশোনা না চালিয়ে অন্য কিছুও করতে পারত শিমুল। করেনি। আমতার উদং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করে কলেজে ভরতি হয়েছে।

advertisement

প্রথম থেকেই অভাবের সংসার। ২০১৬ সালে বাবা মারা যাওয়ায় পড়াশোনাই বন্ধ হতে বসেছিল। স্কুল ও টিচাররা এগিয়ে আসায় স্কুল বন্ধ হয়নি। কিন্তু সংসার? সেটা চলবে কীভাবে? আমতার উদং গ্রামে শিমুলের পরিবারেই শুরু হয় জীবনযুদ্ধ।

পড়াশোনা ও সংসার চালাতে তাই আনাজ বিক্রি শুরু করা। পরিচারিকার কাজ নেন মা। সকালে মাকে কাজে বেরতে হয়। তাই আনাজ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পর রান্নার ভার শিমুলের কাঁধেই।

advertisement

এভাবেই কেটে যাওয়া স্কুলজীবন। ৮৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করে কলেজে ভরতি হওয়া।

বাবার ইচ্ছে - বাবার স্বপ্ন পূরণে পায়ে পায়ে পেরিয়ে যাওয়া অনেক পথ। সাফল্যের পথ অনেক কঠিন। কিন্তু জন লেনন তো কবেই লিখে গিয়েছেন,

ইউ মে হে আই অ্যাম এ ড্রিমার

বাট আই এ নট দ্য ওনলি ওয়ান

advertisement

আই নো সামডে ইউ মে জয়েন আস

অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইউল বি ওয়ান

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

-- জন লেনন, ইমাজিন

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সকালে আনাজ বিক্রি, শিমুলের লড়াই শুরু হয় রাত নামলে...থামলে চলবে না