অবিভক্ত বাংলার ঐতিহ্য বহন করে চলা এই বিসর্জন উৎসব আজও টাকির গর্ব। দশমীর সকাল থেকেই নদীর দুই পারে সাজো সাজো রব। একদিকে ভারত, অন্যদিকে বাংলাদেশ— নদীর বুক জুড়ে নেমে আসে প্রতিমা-বোঝাই নৌকা। তখন মনে হয়, ইছামতী যেন মিলনের সেতু। ঢাকের আওয়াজ, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে দুই বাংলার নদী তীর। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সমান কড়া। ইছামতীর মাঝ বরাবর অদৃশ্য সীমান্তে নজর রাখেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং পুলিশ প্রশাসন, যাতে কোনও নৌকা সীমানা অতিক্রম না করে।
advertisement
আরও পড়ুন : ইছামতীর বাতাসে মেশে বিজয়ার সুর, নীলকণ্ঠের ডানায় বিজয়ার গোধূলি নামে টাকির মাটিতে
উৎসবের আবহ বজায় রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তার দিকেও থাকে বিশেষ নজর। যদিও আগের তুলনায় বাংলাদেশি নৌকার তেমন দেখা মেলেনি, ফলে কিছুটা হতাশ হয়েছেন উপস্থিত দর্শনার্থীরা। তবু ভিড়ের উৎসাহে কোনও ঘাটতি নেই। টাকির ইছামতী নদীর ঘাটে ভিড়ে উপচে পড়েছে পর্যটক। প্রতিমা নিরঞ্জনের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে দুই বাংলার আবেগ, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য।