বিধানসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই যেমন দেখা গেছে তাঁকে তেমনই এখানেও হুইল চেয়ারে বসেই মাইক্রোফোন হাতে প্রচার সামলাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরীয় কাঁধে হাজির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। শুধু কী আর মোদি-মমতা? বাদ যাননি সংযুক্ত মোর্চার আব্বাস সিদ্দিকী, বিমান বসু থেকে অধীর চৌধুরীরাও। দুধ আর ক্ষীর দিয়ে তৈরী হয়েছে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের মূর্তি।
advertisement
তবে লাইমলাইট বেশিটাই টেনে নিয়েছেন চিরাচরিত ভঙ্গিমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হুইল চেয়ারে বসে ভোট প্রচারের মিষ্টি-মূর্তি দেখে তাজ্জব সকলেই। হাওড়ার খুরুটের নেতাজী সুভাষ রোডের প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানে পৌঁছে গেলেই এই অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারেন আপনিও। প্রায় ১৫ কেজি ক্ষীর দিয়ে তৈরি রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের ক্ষীরের মূর্তি দেখতে দোকানে ভিড় হচ্ছে চোখে পড়ার মত।
শুধু ক্ষীরের মূর্তিই নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্ন আঁকা সন্দেশ, মিষ্টি এমনকি রাজনৈতিক দলের রঙের গেরুয়া, সবুজ, লাল রসগোল্লাও বিক্রি হচ্ছে মা গন্ধেশ্বরী সুইটস নামের এই প্রাচীন মিষ্টির দোকানটিতে। দোকানের কর্ণধার কেষ্ট হালদার বলেন, "সব কাজেতেই মিষ্টি অপরিহার্য। ভোটের বাজারেও প্রার্থীদের নমিনেশন থেকে শুরু করে উইনিং সব কাজেই মিষ্টি লাগে। তাই মিষ্টিকে মাধ্যম করেই এই উদ্যোগ নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটের আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদী, বিমান বসু, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, আব্বাস সিদ্দিকীদের ক্ষীরের মূর্তি বানিয়েছি। এবার ভোটে খেলা হবে খেলা হবে বলে শ্লোগান উঠেছে। আমার বক্তব্য খেলা নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু তার মধ্যেও যেন বন্ধুত্ব বজায় রাখেন নেতা-নেত্রীরাও। শান্তি যেন বজায় থাকে। মিষ্টি সম্পর্কের মেজাজটা যেন নষ্ট না করে দেয় এই নির্বাচন। এই বার্তাটুকুই আমি সকলের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছি।”
এই বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা আর ব্যবসা দুটোই করতে চেয়েছেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী। তবে দ্বিতীয় দফার ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তির আবহের মধ্যে এই উদ্যোগ যে এক ঝলক মিষ্টি বাতাস সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।