বড় মিষ্টির দোকানের মালিকরা বলছেন, ছানার যোগান অনিয়মিত। কর্মীরাও কখন কে আসবেন ঠিক ঠিকানা নেই। এলেই বা তারা থাকবে কোথায়? শহরের স্বল্প পরিসরে তাদের রাখার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে কি করে! তারাই যে করোনার সংক্রমণ নিয়ে আসবেন না তার নিশ্চয়তা কোথায়?
তবে এসবের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে লাভ ক্ষতির হিসেব। মালিকরা বলছেন, বড় মিষ্টির দোকানের সবারই নিজস্ব কারখানা আছে। সেখানে সারাদিন তৈরি হয় সীতাভোগ, মিহিদানা, রসগোল্লা, ল্যাংচা, রকমারি সন্দেশ, মিষ্টি দই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কারখানা চলে। অনেকে নিজের দোকানের চাহিদা মিটিয়েও অন্যান্য দোকানে তা সাপ্লাই দেয়। কিন্তু যে পরিমান মিষ্টি তৈরি হয় তার সিকি ভাগও শুনশান দুপুরে বিক্রি হবে না। শহরের বাসিন্দারা এখন মিষ্টি কিনবেন সকাল সন্ধে বাজার থেকে ফেরার পথে। দুপুরে আলাদা করে কেউ মিষ্টি কিনতে বের হবেন না। লক ডাউনের জেরে বাইরের খদ্দেররাও নেই। তাই ক্রেতার দেখা মিলবে না ধরে নিয়েই দোকান বন্ধ রেখেছেন মিষ্টির বড় প্রতিষ্ঠানগুলি। তারা বলছেন, এমনিতেই লোকসান যা হওয়ার হয়েছে। তা আর বাড়িয়ে লাভ নেই।
advertisement
