কাঁথির অধিকারী পাড়ায় গিয়ে যে বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী থাকতেন, সেই বাড়িতেই তদন্তের কাজে এসে ঢোকেন সিআইডি দল। চারজনের এই প্রতিনিধিদল এদিনও সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কথা বলেছেন বলে সুত্রের খবর। উল্লেখ্য, গত পরশু রাতে জেলা পুলিশ লাইনে শুভব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে তৎকালীন যারা কাজ করতেন সেইসব নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডির আধিকারিকরা। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আজকের তদন্তে এলেন তাঁরা এমনটাই সূত্রের খবর। এদিনের ঝটিকা সফরে সেই সময়ের দুজন নিরাপত্তারক্ষীদেরও সি আই ডি সঙ্গে এনেছে।
advertisement
এদিকে এদিন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী নিউজ 18 বাংলাকে ফোনে জানান, তিনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন সিআইডির সঙ্গে। তবে তাঁর অভিযোগ, সিআইডি-র তরফে কাঁথি থানার আই সি কে তাঁদের আগে জানানোর কথা বলা হলেও। কাঁথি থানার তরফে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি এদিন। তাই সিআইডি দল আসার খবর পেয়ে তিনি তাঁর অফিস থেকে এলাকায় এসে পৌঁছন। দিব্যেন্দু জানান, তিনি সিআইডির আধিকারিকদের অনুরোধ করেছেন এরপরে তদন্তে এলে তাঁকে যেন দু'দিন আগে জানানো হয়। তবে একইসঙ্গে অধিকারী পরিবারের তরফে তদন্তে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন দিব্যেন্দু ।
শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত যে ঘরে থাকতেন, সেই ঘরটিও সিআইডি আধিকারিকরা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন শনিবার। প্রায় দেড় ঘণ্টা ওই বাড়িটি ঘুরে দেখেন। সেইসঙ্গে করা হয় গোটা পর্বের ভিডিয়োগ্রাফিও। ২০১৮-র ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর সামনে অবস্থিত নিরাপত্তারক্ষীদের ওই আবাসস্থলেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শুভেন্দুর তৎকালীন দেহরক্ষী শুভব্রত। পরের দিনই মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর গত ৭ জুলাই শুভব্রতকে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা। সেই তদন্তভার নিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।