ফি বছর রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেন বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে দুর্গত মানুষদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন,’মুখমন্ত্রীর তো প্লেনে করে স্পেনে গিয়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি কেমন, তা একবার গ্রামে গ্রামে না গিয়ে অন্তত একবার না হয় আকাশ পথেই ঘুরে দেখতেন।’
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরে সাপ ঢুকেছে? ঘাবড়াবেন না… এই কাজটি করলে সহজেই পালাবে বিষধর..!
শুভেন্দুকে কাছে পেয়ে তাঁদের ক্ষোভ ও ফি বছরের জল যন্ত্রণা নিয়ে অভিযোগ শোনান স্থানীয়রা। সরকার কোনও উদ্যোগই নেয়নি তাঁদের সুরাহা দেওয়ার ব্যাপারে বলেও শুভেন্দুর কাছে নালিশ জানান। খানাকুল এবং পুরশুড়ার বেশ কয়েকটি শিবিরে গিয়ে নিজে হাতে দুর্গতদের ত্রিপল, শুকনো খাওয়ার সহ নানান ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: আগামী ৩ দিন কাঁপিয়ে বৃষ্টি ‘এই’ রাজ্যগুলিতে! IMD জারি করল সতর্কতা! ভারী বৃষ্টি বাংলাতেও?
রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’এই সরকার যতক্ষণ না উৎখাত হবে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষের দুর্ভোগ কমবে না। ডবল ইঞ্জিন সরকার হলেই জল যন্ত্রণার এই সমস্যার সমাধান করা হবে।’ খানাকুলের জলবন্দি কয়েকজন নৌকা করে এলাকা পেরনোর সময় তাঁদেরকে জল থৈ থৈ পিচ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পেয়ে কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেকে জলে নেমে দুর্গত কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের হাতে কিছু ত্রাণ সামগ্রী ও আর্থিক সাহায্যও করে এদিন পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা।
এলাকা পরিদর্শন করে সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’নিম্ন দামোদর অববাহিকার সমস্যার সমাধান করতে চায় না তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। যে কোনও ভোট আসার আগেই দুর্গত মানুষদের কথা মনে পড়ে সরকারের। আমি সেচ মন্ত্রী থাকার সময় ২০১৯ সালে উদয়নারায়ণপুরে বিশ্ব ব্যাঙ্কের চার হাজার কোটি টাকার কাজ শুরু করেছিলাম। সেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করে দাবি করেন শুভেন্দু। ডবল ইঞ্জিন সরকার হলেই বিজেপির প্রথম কাজ হবে ফি বছর রাজ্যের বানভাসি পরিস্থিতির ছবির বদল ঘটানো বলেও এদিন মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী