সোমনাথ ঘোষ, চুঁচুড়া: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ”নন্দীগ্রামে হারিয়েছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, ভবানীপুরেও হারাব।” সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অসিত মজুমদার এবার নিশানা করলেন শুভেন্দুকে। বলেন, ”ও যদি বাপের ব্যাটা হয়, ভবানীপুরে দিদির বিরুদ্ধে দাঁড়াক। নন্দীগ্রামে চুরি করে জিতেছে। একটা চোর লম্পট। ওর কথাবার্তা দেখুন। যখন কথা বলে চোখ গুলো দেখবেন।”
advertisement
এর জবাবে বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পালের জবাব, চুঁচুড়ার বিধায়ক বলছেন বিরোধী দলনেতা হাফ পাগল তাহলে ওনার দিদি কী? শ্রীরামপুরের দাদা কী? আর চুরির কথা বলছেন উনি, চুরিতে ওঁরা পিএইচডি করেছেন। বালি, পাথর, গরু, চাকরি চুরি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার চুরি করেছেন। এর জবাব মানুষই দেবে এবার ভোটে।”
এদিকে, হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই জারি আছে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের। রচনা অসিতকে এক সঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি অনেকদিন। এমনকি চুঁচুড়ায় অসিতের বিধানসভা এলাকাতেও রচনাকে দেখা যায়নি। সম্প্রতি দলের নব নবনিযুক্ত শহর সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে রচনা ইঙ্গিত দিয়েছেন ফণির দিকে নজর দিলে ফণি ফনা দিয়ে ছোবল মারবে। (শ্যামাপ্রসাদের ডাক নাম ফণি)। তৃণমূলের অন্দরে খবর সাংসদের জন্যই ফণি শহর সভাপতি হয়েছেন অসিতের লোককে সরিয়ে। ফণির পাশে যে সাংসদ রয়েছেন, তাও সেদিন স্পষ্ট করেছেন সাংসদ।
এমন আবহে অসিত মজুমদার বলছেন, ”রচনা আমার বোনের মতো। ও সুস্থ থাকুক, ভাল থাকুক। এখানে থাকলে নিশ্চই ভাইফোঁটা দিত। এক পরিবারে ভাইবোনে ঝগড়া অশান্তি হয়, আবার ঠিক হয়ে যায়, দাবি অসিতের। তবে যেখানে স্বার্থের সংঘাত সেখানে কী হবে সে প্রশ্ন থেকে যায়।
চুঁচুড়া প্রিয়নগরে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সকাল সকাল ভাইফোঁটা দিতে আসেন দলের মহিলা কর্মীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন বালির মোড়ের কর্মী গোপলা ঘোষের মা নমিতা ঘোষ। প্রবীণ নমিতা জানান, ”সেই প্রথমবার যখন দাদা জিতলেন তখন থেকে ফোঁটা দিই। তাতে ছেদ পরেনি। মানুষের জন্য কাজ করুক এটাই চাই ঈশ্বরের কাছে।”