তৃণমূলের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার ভেকুটিয়া অঞ্চলে উন্নয়নের পাঁচালির প্রচারে বেরনো একটি টোটো ভাঙচুর করে বিজেপি-র কর্মী, সমর্থকরা৷ এই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়৷ এর পরই পুলিশ গৌরাঙ্গ ঘড়া নামে ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ৷
এ দিন ধৃতের স্ত্রী, শিশুসন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নন্দীগ্রাম থানায় হাজির হন৷ বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, বিজেপি-র কেউ তৃণমূলের ট্যাবলো ভাঙচুর করেনি৷ ওই টোটোটি নিজে থেকেই পুকুরে পড়ে যায়৷ মাঝরাতে সাদা পোশাকে, চটি পরে বাড়িতে চড়াও হয়ে ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এমন কি, ওই বিজেপি কর্মীর স্ত্রী এবং শিশুসন্তানকেও মারধর এবং হেনস্থা করা হয়েছে৷ বিরোধী দলনেতার দাবি, বাপ্পাদিত্য গর্গ নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার চাপেই ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতা পুলিশ
advertisement
পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘কেন সাদা পোশাকে আপনারা গিয়েছিলেন? মস্তানি হচ্ছে? চটি পরা পুলিশ৷ তৃণমূলের টোটোয় কেউ হাতই দেয়নি, পুকুরে পরে ট্যাবলো ছিঁড়ে গিয়েছে৷ এপ্রিল মাসের পরে মমতা, আইপ্যাক থাকবে না৷ আমি বলে গেলাম৷ যা করছেন ফল ভোগ করতে হবে৷’
যদিও শুভেন্দু অধিকারী যে সময়ে নন্দীগ্রাম থানায় যান, তখন থানার আইসি উপস্থিত ছিলেন না৷ ধৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক৷ পাশাপাশি ওই বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে আগামী সোমবার কলকাতায় নিয়ে আসার নির্দেশও দেন বিরোধী দলনেতা৷ আগামী সোমবার প্রয়োজনে এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চে মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী সারাজীবনই হুমকি, ধমকি দেন৷ উনি যে দল করেন, তাদের সারা বছর কোনও উন্নয়ন নেই৷ তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের পাঁচালি আমরা যখন মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি, তখন সেই টোটোয় তারা ভাঙচুর করছে৷ পুলিশ তাই আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে৷ তাতে উনি কেন গিয়ে থানা ঘেরাও করবেন? উনি সারাজীবনই মিথ্যে কথা বলে এসেছেন৷’
