পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক।’’ দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যুইট করে এও জানান শুভেন্দু অধিকারী। যদিও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছিলেন, এদিনের অনুষ্ঠানের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুলিশ কমিশনারের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ট্যুইট করে আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেতা চৈতালী তেওয়ারির স্বাক্ষরিত আসানসোল উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জকে লেখা একটি চিঠিও প্রকাশ করেন। যে চিঠিতে গত ৩ ডিসেম্বর আসানসোল পুর নিগমের লেটার হেডে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে অনুষ্ঠানের কথা জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন এদিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা চৈতালি তিওয়ারি বলে উল্লেখ রয়েছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, আসানসোলে বিজেপির কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তীব্র বিশৃঙ্খলার জেরে বুধবার ঘটে মারাত্মক ঘটনা ৷ হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের ৷ এই ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচজন ৷ আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙালে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে হঠাৎই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ৷ ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের ৷ এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এদিন শিবচর্চা নামক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ অন্যান্যরা। প্রথমে কিছু কম্বল বিতরণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পর শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে যাওয়ার পর কম্বল বিতরণ করার সময় হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এর পর পদপিষ্ট হয়ে কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্য দিকে আরেকজনকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এর পাশাপাশি চারজনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই লেগেছে রাজনীতির রং। দুর্ঘটনার দায় কার? তৃণমূল-বিজেপি তরজায় সরগরম আসানসোল তথা রাজ্য রাজনীতি।