শাসক দলের এই বিরোধীশূণ্য জয়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয় বলেই ব্যখ্যা করলেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অভিকারী ৷ এদিন নির্বাচনের ফল সামনে আসতেই তৃণমূলের জয়জয়কার শুরু হয় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷ তৃণমূলের জয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্বার্থে জনসংযোগের কাজ করেছেন ৷ এটা তারই প্রভাব ৷’’
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদেও তৃণমূলের জয়জয়কার, জেলা পরিষদ তৃণমূলের
advertisement
উল্লেখযোগ্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল মালদহ, মুর্শিদাবাদে ৷ যে দু’টি জেলা এক সময় কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত ছিল সেখানে আজ উল্টেছে গণেশ ৷ নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এক সময়ের চালিকা শক্তির কাছে ৷ শুভেন্দুর মতে, উন্নয়নের প্রভাব পড়েছে মালদহ, মূর্শিদাবাদে ৷
এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘উন্নয়নের প্রভাবটাকে আমরা কাজে লাগিয়েছি ৷ মুখ্যমন্ত্রী রাজধর্ম পালন করেছেন ৷ আমরা কাজে লেগে থেকে সাফল্য পেয়েছি ৷ মালদহে সাংগঠনিক বিষয় কঠিন ছিল ৷ সম্মিলিতভাবে কাজ করেছি মালদহে ৷ ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছি আমরা ৷ গনি খানের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন কংগ্রেস ৷ সেই সুবিধা পেয়েছে তৃণমূল ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতে অধিকাংশ জয় পেয়েছি ৷ মুর্শিদাবাদে কেউ কংগ্রেস করতে চায় না ৷ কংগ্রেসের ৪ বিধায়ক ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন ৷ কংগ্রেস বিধায়করা তৃণমূলে আসতে চান ৷ মানুষের জন সমর্থনে জয় তৃণমূলের ৷ অধীরের সুযোগ সন্ধানী রাজনীতি পছন্দ করেনি মানুষ ৷ মুর্শিদাবাদে সেভাবে কোনও উন্নয়ন হয়নি ৷ মুর্শিদাবাদের উন্নয়নে কাজ করেছে তৃণমূল ৷ ’’