এ দিন এগরার সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল আমার কোনও পদ কাড়েনি৷ চেয়ারম্যান, মন্ত্রিত্ব সব পদ রেখেছিল৷ লাস্ট ১ ডিসেম্বর ২০২০ উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দিতে চেয়েছিল৷ ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি৷’
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু যে সময়ের কথা বলছেন, তখন তাঁর ক্ষোভ প্রশমনে একাধিক বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা৷ শুভেন্দুর সঙ্গে মধ্যস্থতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো দলের প্রবীণ সাংসদদের৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি৷ শেষ পর্যন্ত বিজেপি-তেই যোগ দেন শুভেন্দু৷
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ, হাইকোর্টে শুভেন্দু! বিস্ফোরক দাবিতে তোলপাড় বাংলা
এর আগে একাধিক বার শুভেন্দু ওই সমস্ত বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে দাবি করেছিলেন, তাঁকে ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা করেছিল তৃণমূল৷ যদিও তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এমন দাবি প্রথম করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবিেক গুরুত্ব দিতে চাননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, গ্রেফতারির ভয়েই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷
এ দিন এগরার সভা থেকেও সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত ভোটে ভোট লুঠ করতে জলপথে বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীদের ঢোকানো হচ্ছে রাজ্যে৷ শুভেন্দু দাবি করেন, ‘পঞ্চায়েত ভোট কোয়ার্টার ফাইনাল৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র আসন সংখ্যা ১৮ থেকে বেড়ে ৩৬ হবে৷’