সাজা ঘোষণার সময় এ দিন আদালত কক্ষেই উপস্থিত ছিলেন সুতপা চৌধুরীর বাবা স্বাধীন চৌধুরী৷ মেয়ের খুনির ফাঁসির সাজা শুনে কেঁদে ফেলেন তিনি৷ কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বলেন, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ৷ আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে৷ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার আস্থা ছিল। আমি বিচারকের রায়ে খুশি। এতদিনে আমি একটু স্বস্তি পেলাম। এই ধরনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড না হলে দুষ্কৃতীরা বার বার এর পুনরাবৃত্তি ঘটাবে।
advertisement
সাজা ঘোষণার আগে বিচারক সুশান্তর কাছে বার বার জানতে চেয়েছিলেন তার কোনও বক্তব্য আছে কি না। কিন্তু মাথা নিচু করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিল সুশান্ত। সমস্ত প্রশ্নের উত্তরেই সে নিরুত্তর ছিল। এর পর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করার পর আদালত থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি সুশান্ত।
এ দিন আদালত কক্ষে হঠাৎ করেই সুশান্তর মামা অসুস্থ হয়ে পড়েন। উপস্থিত পুলিশরা তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বর্তমান সমাজে একজন মহিলা কোনও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে তিনি বেরিয়ে আসতে পারেন। সেই অধিকার তাঁর আছে। কিন্তু সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গেলে প্রেমিকাকে খুন করার অধিকার প্রেমিকের থাকতে পারে না। তাই এই খুনের ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। গোটা সমাজকে এই খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল। কারণ সুশান্ত খুনের সময় বলেছিল একটা খুন করলে যা ১০টা খুন করলেও তাই। সেই কারণে মৃত্যুদণ্ডের জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। সমস্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন।’
সুশান্ত চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবি পীযূষ ঘোষ বলেন, ‘বিচারকের এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।’