পচনশীল বালতিতে জমা হবে সেই সব বর্জ্য গুলো যেগুলো পচনশীল । যেমন- ফেলে দেওয়া সবুজ শাক সবজির অংশ, আলু গাজর অর্থাৎ বিভিন্ন সবজির খোসা , গাছের পাতা ইত্যাদি এই সব বর্জ্য। এবং অন্য বালতি অর্থাৎ অপচনশীল বালতিতে জমা হবে সেই সকল বর্জ্য যেগুলি অপচনশীল, মাটির সাথে মিশে যেতে পারে না। যেমন- ক্যারিব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতল ও বিভিন্ন প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস ইত্যাদি সব বর্জ্য। যে সকল বর্জ্য গুলি মাটির সাথে মিশে যেতে পারে অর্থাৎ পচনশীল সেগুলি পুনরায় ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে যাতে পরিবেশের বাতাবরণ দূষিত না হয়। সেই বর্জ্য গুলি দিয়ে নতুন করে সর তৈরি করা হবে। যা করবে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এবং সেই তৈরি সার কাজে লাগানো হবে বিভিন্ন ফসলের ফলনে ।
advertisement
আর অপচনশীল বর্জ্য গুলিকে আলাদাভাবে ধ্বংস করা হবে যাতে পরিবেশ ধূষণ না হয়। এই পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য গুলিকে শহরের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করবে পুরসভার বর্জ্য সংগ্রহের একটি গাড়ি। যেখানে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে থাকবে দুটি বালতি। এবং সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে বের হবে এই বর্জ্য সংগ্রহের গাড়ি। সিউড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন অঞ্জন কর জানান ,"শহরের বাড়ি বাড়ি বর্জ্য পদার্থের পরিমান বেড়ে গেছে, বর্জ্য সংগৃহের গাড়িতে লক্ষ করা যাচ্ছে বিভিন্ন পচনশীল-, অপচনশীল বর্জ্য। তাই বর্জ্য সংগ্রহের গাড়িতে এবার থাকবে পচনশীল ও অপচনশীল দুটি আলাদা আলাদা বালতি। এই পচনশীল বর্জ্য দিয়ে তৈরি হবে সার। আর সেই সার তৈরি করবে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ইতিমধ্যে পুরসভার সদস্য ও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবেদন জানাচ্ছেন কি ভাবে বর্জ্য আলাদা বালতিতে ফেলতে হবে, ইতিমধ্যেই পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বর্জ্য আলাদা করার কাজ শুরু হয়েছে।