কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে ভাল ফল করতে হবে বলে এ দিনই বিধানসভায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাোপাধ্যায়৷ এই নির্বাচনের জন্য রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকে দলের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্তও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কীভাবে নির্বাচনে ভাল ফল করা যায়, তার রণকৌশল ঠিক করতে কোলাঘাটে জেলার সাত বিধায়ককে একসঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: সামনে ইউনূস, আড়াল থেকে কাজ সারছেন আজিজ? চট্টগ্রামের এই পুলিশ অফিসারই সংখ্যালঘুদের ত্রাস
আগামী ১৫ ডিসেম্বর কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন৷ পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহত্তম সমবায় ব্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান৷ শুধু তাই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে বরাবরই এই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনকে প্রেস্টিজ ফাইট হিসেবে দেখা হয়৷ শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, এই ব্যাঙ্কের বোর্ড গঠন করে পরিচালনার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দুই মেদিনীপুরেই আগ্রহ তুঙ্গে রয়েছে৷
তৃণমূলের উষ্মার কারণ, এই ব্যাঙ্কের পরিচালন ব্যবস্থার উপর বরাবরই অধিকারী পরিবারের প্রভাব রয়েছে৷ শুভেন্দু অধিকারী নিজে দীর্ঘদিন এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন৷ সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট হলেও কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ভোটার সংখ্যা ৮০ হাজারেরও বেশি৷ ১৪টি ভোট গণনা কেন্দ্রে সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের ১০৮টি আসনে ভোট হবে৷ প্রার্থী তালিকায় এবার বিরোধী দলনেতার নাম না থাকলেও পরোক্ষে তাঁর এবং অধিকারী পরিবারের সঙ্গেই যে শাসক দলের সম্মানের লড়াই এই নির্বাচন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷
আইনি জটিলতায় প্রায়ও তিন বছর কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে কোনও নির্বাচন হয়নি৷ এ বারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি হয়৷ শেষ মুহূর্তে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র বদল করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এগরার প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর বেরা সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, এ বারেও কি আইনি জটে আটকে যাবে কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন? কিন্তু এ দিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই জট কাটল। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে নয়, সিসিটিভি নজরদারিতে কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচন করতে হবে৷
সূত্রের খবর, এ দিন বিধানসভায় কন্টাই সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়কদের সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জেলার তৃণমূল বিধায়কদের তিনি জানান, সব বিধায়কদের এক যোগে কাজ করতে হবে। এখন থেকে নিজ নিজ এলাকায় কাজে নেমে পড়ুন। বিশেষ নজর রাখবেন। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন কটাক্ষ করে বলেন, ভাবা যায় এই রাজ্যের কি অবস্থা। সমবায় নির্বাচনেও আধা সাময়িক বাহিনীকে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এটা আমাদের চরম লজ্জা। গতকাল যেভাবে ওরা বোম বাজি করেছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সাংবাদিকরা পর্যন্ত আহত হয়েছে।
সহ প্রতিবেদন- সুজিৎ ভৌমিক