প্রসঙ্গত, বুধবার কৃষ্ণনগরে প্রকাশ্য সভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ মাঠ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বার্তাও দিয়ে রাখলেন মমতা। ভোটের আগের রণনীতি ঠিক করে দিয়ে স্পষ্ট জানালেন, গোষ্ঠীকোন্দল কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবেন না তৃণমূলনেত্রী। বেশ কিছুদিন ধরে নদিয়ায় গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠছিল। দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তাঁর সাফ কথা, ‘‘নদিয়ায় সংগঠন ভাল করে করতে হবে। আমাদের বিধায়করা আশা করি ঝগড়া করবেন না। যে করবেন তার দলে স্থান নেই। কে বড়? আমি না মানুষ। সিম্বল না থাকলে আমি জিরো। যার ইগো থাকবে বাড়িতে বসে যান। কলকাতার সঙ্গে কার যোগাযোগ আছে দেখার দরকার নেই। আমি খুঁজে দেব।’’
advertisement
আরও পড়ুন- বড় খবর! আজ থেকেই স্কুলে স্কুলে চাকরি দিতে শুরু করছে এসএসসি, শুরু হচ্ছে কাউন্সিলিং
মমতার বক্তব্য, ‘‘আমি কো-অর্ডিনেশন কমিটি করছি মহুয়া, উজ্জ্বল, নন্দ, জেলা পরিষদের সভাপতি-সহ বিধায়করা। এই পরিবার ভাঙা যাবে না। আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ৷ আমি নতুন পুরনো মিশিয়ে শান্ত পরিবার করে দেব। বেশি ঝগড়া করবেন না। ব্রেন খারাপ হয়ে যায়। ঝগড়া করলে সম্পর্ক রাখব না।’’ নদিয়া থেকে দলীয় কর্মী নেতৃত্বকে স্পষ্ট বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার এই বার্তা প্রসঙ্গেই সুর চড়ান সুকান্ত। বঙ্গ পদ্ম শিবিরের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একদিকে যেমন তৃণমূল সুপ্রিমোকে খোঁচা দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দুর্নীতির ভাগটা নতুন পুরনোদের বলে দিতে। তেমনি এও বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ যেমন ধীরে ধীরে তাঁর সান্নিধ্য ত্যাগ করছে, মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্বাস করছেন না, ঠিক তেমনি দলের নেতা-কর্মীরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বার্তা দিন না কেন আগামী দিনে তারাও তাঁর থেকে দূরে সরে যাবে। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।’’