বসিরহাটের হাবাসপুর, লক্ষণকাটি, হিজলা সহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা এখন চিরাচরিত চাষপদ্ধতি থেকে সরে এসে আখ চাষে মন দিচ্ছেন। ববর্তমানে এই অঞ্চলে প্রায় সারা বছর আখ চাষ হচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান চাষে এখন আর সেভাবে লাভ হয় না। সেখানে আখ চাষ তুলনামূলকভাবে বেশি লাভজনক ও চাহিদাসম্পন্ন। ফলে চাষ করে দিনের শেষে দুটো পয়সার মুখ দেখতে পারছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মোদির হাতিয়ারে ইছাপুরের ছোঁয়া, এবার চাপে পড়তে চলেছে আমেরিকা
এখানে উৎপাদিত আখ কেবল স্থানীয় বাজারেই নয়, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হচ্ছে। এই বিরাট বাজারের সুবিধাও কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান করছে। আখ চাষের প্রসারে কৃষকদের আয় বেড়েছে, বদল এসেছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও।
চিরাচরিত ধান চাষের পরিবর্তে আখ চাষের কতগুলি সুবিধাও আছে। আখ চাষের জন্য কম জমি ও সেচের সুবিধা প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। অর্থাৎ তুলনায় কম খরচ এবং বেশি চাহিদার হাত ধরে এই বসিরহাটের কৃষকরা আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কৃষি বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এই পরিবর্তন ভবিষ্যতে বসিরহাটকে জেলার অন্যতম আখ উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করবে। কৃষকদের দাবি, সরকারি সহায়তা ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সহজলভ্যতা পেলে উৎপাদন আরও বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। স্থানীয়রা বলছেন, এই চাষের মাধ্যমে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, গ্রামে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে। ফলে যুব সম্প্রদায়ের অনেকে আবার কৃষির কাজের দিকে ফিরছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আখ ভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠলে এই অঞ্চলের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।