ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী আরিফ। বাবা কালু মণ্ডল মাঝির কাজ করেন। সংসারে বিত্যদিনের অভাব-অনটন। কোনওরকমে সংসার চলে। মা আফরোজা বিবি গৃহবধূ। সংসারে চরম আর্থিক প্রতিকূলতা থাকলেও ছেলের পড়াশোনায় কখনও বাধা আসতে দেননি স্বামী স্ত্রী দু’জনেই। ধার-দেনা করেও ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। আর তার পরিনতি মিলল হাতেনাতে।
বৃহস্পতিবার পরীক্ষার রেজাল্ট বার হতেই খুশির হাওয়া আরিফের পরিবারে। গর্বিত পরিবার-সহ গোটা গ্রামের বাসিন্দারা। খবর পাওয়ামাত্র আরিফ ও তার পরিবারকে জলঙ্গি থানায় ডেকে সংবর্ধনা জানালেন ডোমকল এসডিপিও শুভম বাজাজ-সহ জলঙ্গি থানার পুলিশ। আরিফ মণ্ডল জানান, ” প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকায় মানুষ হয়ে ওঠা। গ্রামের মানুষদের সমস্যাগুলো খুব কাছে থেকে দেখেছি। সেইসব সমস্যা সমাধানে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতেই WBCS-এর পথ বেছে নেওয়া।” এসডিপিও শুভম বাজাজ জানান, আরিফ গোটা জেলার গর্ব। প্রত্যন্ত এলাকার ছেলে মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরনা হয়ে উঠুক আরিফ।
advertisement