অভিযুক্ত দোকানদার ওরফে সিভিক ভলেন্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। যা নিয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাবা অভিযোগ জানায় থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাতে ৬ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
advertisement
পুলিশের উপস্থিতিতে গতকাল রাতেই মৃত ছাত্রের দেহ সৎকার করা হয়। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে যারা ওই অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়, তাদের নাম ইতিমধ্যে পুলিশ সংগ্রহ করেছে। ধরপাকড় চলবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এলাকায় যাতে নতুন করে কোন উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে পুলিশ পিকেট বসেছে।
দোকানের বাইরেই চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে ওই ছাত্র কৃষ্ণেন্দু সেই প্যাকেট কুড়িয়ে নেয়। বাড়ি ফেরার সময় সেই দোকানের মালিক শুভঙ্কর দীক্ষিত যিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ারও বটে, মোটর বাইক নিয়ে ধাওয়া করে কৃষ্ণেন্দুকে পাকড়াও করে চুরির অপবাদ দেয়। এবং সর্বসমক্ষে বাজার এলাকায় কান ধরে ওঠবস করায় এবং মারধর করে। কৃষ্ণেন্দুর্ বাবা-মার আরও অভিযোগ, সেই সময় কৃষ্ণেন্দু চিপসের দামও শুভঙ্করকে দেয়।
ঘটনা প্রাথমিক ভাবে শুনে নাবালিকের মা ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষ্ণেন্দুকে শাসন করেন। এবং বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। চোর অপবাদ না সহ্য করতে পেরে একটি সুইসাইডাল নোট লিখে বাড়িতে থাকা কীটনাশক খেয়ে নেয় ওই নাবালক। তারপরই তাকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ মারা যায় কৃষ্ণেন্দু দাস।
সুজিত ভৌমিক