মহকুমায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের বহু ছাত্রছাত্রী কলেজে ভর্তি না হয়ে বসে আছে ঘাটাল মহকুমার কলেজগুলিতে সাঁওতালি ভাষা অলচিকি লিপিতে পঠনপাঠনের সুযোগ না থাকায়।২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সাঁওতালি ভাষায় অলচিকি লিপিতে মহকুমার চন্দ্রকোনা কলেজে সাম্মানিক ও সাধারণ বিভাগে পঠনপাঠন শুরুর দাবীতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চন্দ্রকোনা কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বেশ কয়েকবার সংগঠনের তরফে লিখিত ডেপুটেশন দিলেও তার কোনও সদুত্তর না পেয়েই এবার লাগাতার আন্দোলনের পথে।
advertisement
সংগঠনের চন্দ্রকোণা দু নম্বর ব্লক(মুলুক) সভাপতি ধনচাঁদ মুর্মু জানায়,ঘাটাল মহকুমা তল্লাটের ডাকে চন্দ্রকোনা কলেজে ঘেরাও কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।মহকুমায় দুটি কলেজ একটি ঘাটালে অপরটি চন্দ্রকোনায়।চন্দ্রকোনা থানা এলাকায় বিশেষ করে দু নম্বর ব্লকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসতি বেশি। সেজন্য আমাদের সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা কলেজে পড়াশুনার সুযোগ পায়নি। চলতি শিক্ষা বর্ষেই অলচিকি লিপিতে পঠনপাঠন শুরু করতে হবে এরজন্য চন্দ্রকোনা কলেজে বহুবার ডেপুটেশন দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে কিন্তু কেউ কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি এখনও। জোরদার আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবী আদায় করার লক্ষ্য সোমবার কলেজ ঘেরাও হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।একইসাথে ওইদিন রাজ্যসড়ক অবরোধ করারও হুঁশিয়ারিদেন চন্দ্রকোণা দু নম্বর মুলুক সভাপতি ধনচাঁদ মুর্মু। ইতিমধ্যেই কলেজ ঘেরাও কর্মসূচী নিয়ে চন্দ্রকোনা কলেজের গেটে পোস্টার লাগানো থেকে শহরেও পোস্টারের মাধ্যমে প্রচারও করা হয়েছে সংগঠনের তরফে। উচ্চশিক্ষাদপ্তরের তরফে লিখিত কোনও আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত ওইদিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ ঘেরাও চলবে বলে খবর আর এর জেরে চন্দ্রকোনা কলেজ অচল হয়ে পড়েছে। চন্দ্রকোনা টাউন থানা পক্ষ থেকে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কলেজের সামনে নামানো হয়েছে পুলিশ বাহিনী।