প্রসঙ্গত দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস ধরে কাউন্সিলরদের দ্বন্দ্বের জেরে কৃষ্ণনগর পৌরসভার যাবতীয় কাজকর্ম প্রায় স্তব্ধ। বন্ধ প্রায় সমস্ত নাগরিক পরিষেবা। চলতি অর্থ বর্ষের সাত মাস অতিক্রান্ত। কিন্তু তৃণমূল কাউন্সিলরদের দ্বন্দ্বে এখনও পর্যন্ত পুরসভার বাজেট চূড়ান্ত হয়নি। ফলে উন্নয়নের কাজ বন্ধ।
এরই মধ্যে গত ২৫ জুন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে তলবি সভা ডাকার আবেদন জানান কংগ্রেসের একজন ও একজন নির্দল কাউন্সিলর সহ তৃণমূলের ১৩ জন কাউন্সিলর। চেয়ারম্যান সেই সভা না ডাকায় গত ১১ জুলাই ভাইস চেয়ারম্যানকে তলবি সভা ডাকার আবেদন জানানো হয়। তিনিও সভা না ডাকায় তিন জন সিনিয়র কাউন্সিলরের কাছে আবেদন জানানো হয়। গত সোমবার তাঁরা তলবি সভা ডাকেন। সেই সভায় ১৫ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে পুরপ্রধান রীতা দাসকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
advertisement
রীতা দাসকে অপসারণের মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা পার হতেই শহরের নাগরিক পরিষেবার অচলাবস্থা নিয়ে পুরসভাকে কড়া চিঠি পাঠাল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। দলের নির্দেশ উপেক্ষা করেই চেয়ারপার্সনকে অপসারণের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৃণমূলের ১৩ জন সহ ১৫ জন কাউন্সিলার। তার জেরে এবার ২৪ জন পদ থাকা নিয়েই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি চেয়ারম্যান সহ কোনও কাউন্সিলর।