TRENDING:

গঙ্গাসাগর মেলায় এবারও থাকছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে পরিষেবা

Last Updated:

নিখরচায় মেলায় আগত ভক্তদের জন্য এই প্রথম বার রাজ্য সরকার রাখছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স । জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিধি মেনে তাই সাগরে তৈরি হচ্ছে আরও একটি হেলিপ্যাড।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ABIR GHOSHAL
advertisement

#গঙ্গাসাগর: গঙ্গাসাগর মেলায় এবারও থাকছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। গত কয়েক বছর ধরে হেলিকপ্টার পরিষেবা পাওয়া যায় দেশের অন্যতম বৃহৎ এই মেলায়। এবারও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা মিলবে।  রাজ্যের পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ দিন ব্যবহার করা হবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। কোটি কোটি মানুষের এই মেলার জন্য দু’টি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে চলেছে। প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের যে হেলিপ্যাড আছে সেখানেই রাখা থাকবে এগুলি। তবে স্ট্যান্ডবাই হিসাবে তৈরি রাখা হচ্ছে বেহালা বিমানবন্দর।

advertisement

পর্যটন শিল্পকে আরও চাঙ্গা করতে কলকাতা থেকে সাগরের মধ্যে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে চালু হয় হেলিকপ্টার পরিষেবা। যাতায়াত নিয়ে খরচ পড়ে মাত্র তিন হাজার টাকা। বছরের বিভিন্ন সময় যাত্রী পেলে এই রুটে বেহালা বা ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টার উড়ে যায় সাগরের উদ্দেশ্যে। সাগরে মেলার সময় অবশ্য বাকি রুটে নয় এই পথেই প্রতিদিন কয়েকবার উড়ে যায় বেসরকারি সংস্থার এই হেলিকপ্টার। যা সারাবছর রাজ্য সরকার ভাড়ায় নিয়ে রাখে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এই বেসরকারি সংস্থার হেলিকপ্টার গঙ্গাসাগরে তলিয়ে যাওয়া দুই জনকে উদ্ধার করে। ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে অসুস্থ রোগীদের কলকাতায় উড়িয়ে নিয়ে আসে।

advertisement

গত বছরই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেলায় আসা মানুষের সুবিধার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নেওয়া হবে। চলতি বছরেই ইতিমধ্যেই সাগর মেলার জন্য দু’টি বৈঠক করে ফেলেছে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করতেই হবে। তার পরেই রাজ্য সরকার যোগাযোগ করে দেশের দুই সংস্থার সঙ্গে। তারপরেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। কলকাতায় রাজ্য সরকার বেহালা বিমানবন্দর ব্যবহার করে। নবান্নের কাছে ডুমুরজলা হেলিপ্যাড ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কলকাতা বিমানবন্দর তো আছেই। কিন্তু সাগরে আছে মাত্র একটি হেলিপ্যাড। সাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ গঙ্গাসাগর বাস স্ট্যান্ডের পাশে একটি হেলিপ্যাড তৈরি করেছে। আপাতত সেখানেই হেলিকপ্টার ওঠা নামা করে। হেলিকপ্টার ওঠা নামার জন্য এই হেলিপ্যাড আটকে থাকবে। ফলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কোথায় নামবে? তাও আবার দু’টি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সমস্যা মেটাতে পূর্ত দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্য পরিবহণ দফতর। জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিধি মেনে তাই সাগরে তৈরি হচ্ছে আরও একটি হেলিপ্যাড। তবে নজর রাখা হয়েছে পরিবেশের যেন কোনও সমস্যা না হয়।

advertisement

তবে এখানেও উঠছে একটা প্রশ্ন। রাতের বেলা যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তার জন্যে কি ব্যবহার করা যাবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স? দফতর সূত্রে খবর তার জন্যে যে পরিকাঠামো দরকার তা তৈরি করা এখনই সম্ভব নয়। রাতের বেলা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বা হেলিকপ্টার নামার জন্য দরকার আই এফ আর বা instrument flight regulation বিধি। যেখানে এটিসি থেকে নামা বা ওঠার সংকেত পেলেও পাইলটের ভিশন স্বচ্ছ থাকতে হবে। তার জন্যে যা যা পরিকাঠামো প্রয়োজন তা এখানে বসানো সম্ভব নয়। তাই রাতের বেলা মেলায় যদি কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তার জন্যে ভরসা সেই মেলায় থাকা মেডিক্যাল ক্যাম্প। জোয়ার থাকলে জলদি লট এইট হয়ে ডায়মন্ড হারবার বা কলকাতায় নিয়ে আসা যাবে। তবে পরিবহণ দফতর অবশ্য জানাচ্ছে সরকার সমস্ত ধরণের সাহায্য করবে মেলায় আসা ভক্তদের।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

গঙ্গাসাগর মেলাকে আধুনিক মানের করে তুলতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা দেশ থেকে আসা ভক্তদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য। এছাড়া যাতায়াতের জন্য থাকছে পরিবহণের নানা উপায়। তার মধ্যেই নিখরচায় মেলায় আগত ভক্তদের জন্য এই প্রথম বার রাজ্য সরকার রাখছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
গঙ্গাসাগর মেলায় এবারও থাকছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে পরিষেবা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল