এখন আর সেই জৌলুস নেই। তবে আজও ঐতিহ্য মেনে পুজো হয়। কুমারী পুজো থেকে সন্ধি পুজো নিয়ম নিষ্ঠার খামতি থাকে না। দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন হয়, কাঠামো থেকে যায় বছর বছর। জাঁকজমক কমেছে আগের তুলনায়, তবে নিয়ম নিষ্ঠা এখনও আছে আগের মতোই।শ্রীরামপুর শহরের মধ্যে এটি শ্রীরামপুর রাজবাড়ি নামেও বিখ্যাত।
সুবিশাল এই অট্টালিকার তৈরির পেছনে রয়েছে এক ইতিহাস।নবাব আলি বর্দির খাঁ শাসনকালের সময়ের ঘটনা। কথিত আছে, পরিবারের পূর্বপুরুষ রামগোবিন্দ গোস্বামী একদিন পাটুলি থেকে গঙ্গাবক্ষে কলকাতার উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। পথে তাঁর স্ত্রী মনোরমা দেবীর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। তাই শ্রীরামপুরে থামতে বাধ্য হন। নৌকা থেকে নেমে শ্রীরামপুর তারঁ খুব পছন্দ হয়। সেই সময় শেওড়াফুলির রাজা মনোহর রায় জানতে পেরে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : হিমালয়ের কোলে 'বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতার' শিব মন্দির
রামগোবিন্দ দুর্গাপুজো শুরু করেন যা ‘বড় বাড়ি’ নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীকালে রাম গোবিন্দর নাতি হরিনারায়ণ গোস্বামীর আমলে পরিবার ভাগ হয়ে যায়। তিনি ও তাঁর পুত্র রঘুরাম গোস্বামী চাতরায় বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেন। বিরাট নাটমন্দির ঠাকুর দালান তৈরি হয়,সেখানেই শুরু হয় দুর্গাপুজো।বর্তমানে, পারিবারের অনেকেই বিদেশে থাকেন। তবে পুজোতে সবাই নিজের বাড়িতে আসার চেষ্টা করেন। যাঁরা আসতে পারেন না তাঁদের জন্যই প্রতিবছর সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং করা হয় গোস্বামী বাড়ির ফেসবুক পেজ থেকে। যাতে দূরে থেকেও আপনজনরা পুজোর আনন্দ একইভাবে অনুভব করতে পারে।
আরও পড়ুন : কথার মাঝেই গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া অনুভব, পুরস্কার মঞ্চে আটপৌরে সুখানুভূতি আলিয়ার
বর্তমানে বাড়ি, দালান রক্ষণাবেক্ষণ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও যাঁরা রয়েছেন তারা চাইছেন যে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে। পূর্বপুরুষদের পুজোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।