পুরানে বর্ণিত এই মন্দির। কথিত আছে স্বয়ং দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দির ৫১ সতীপীঠের এক পীঠ। দেবী মহামায়া সতীর বাম পায়ের গোড়ালি এই স্থানে পড়েছিল। ওড়িশা স্থাপত্য রীতির আদলে নির্মিত মন্দিরের ভেতর কৃষ্ণ পাথরে নির্মিত দেবী উগ্রতারা রূপে বিরাজমান। দেবী ভীমা কালী রূপে পূজিতা হন।
advertisement
আরও পড়ুন: মহিষাদল রাজবাড়িতে গেলেই রাজার হালে খাওয়া-দাওয়া! ১০ টাকা থেকে শুরু!
তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে বছরের ৩৬৫ দিন পুজো হয়। এর পাশাপাশি বছরের বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন তিথিতে বিশেষ রূপে পূজিত হন দেবী মা। কালী পুজো অর্থাৎ দীপান্বিতা অমাবস্যায় নিশি পুজো হয় তন্ত্র মতে। এদিন দেবী বর্গভীমা রাজ রাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন। দেবীর অঙ্গেও থাকে রাজবেশ। পুজোয় বিশেষ হোম যজ্ঞ হয় মন্দিরে। এদিন রাতে মাকে নিবেদন করা হয় রাজভোগ। পুজোর শেষে ভক্তরা দেবী মায়ের উদ্দেশ্যে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। পুজো শেষের ভক্তরা, একে একে মায়ের উদ্দেশ্যে ১০৮ টি প্রদীপ জ্বালান।
আরও পড়ুন: ১১ টাকার মাস্টার! শিক্ষার আলো আসছে জীবনে
তমলুকে শক্তি পুজোর আগে বর্গভীমা মায়ের অনুমতি নেওয়ার চল আছে। কালীপুজোর দিন সন্ধ্যের পর থেকেই শোভাযাত্রা সহকারে ক্লাব প্রতিষ্ঠান বা পরিবারের পুজো উদ্যোক্তারা বিভিন্ন উপাচারের নৈবেদ্য সাজিয়ে মন্দিরে আসেন। দেবী মায়ের কাছে পুজো দিয়ে কালী পুজো বা শক্তিপুজোর অনুমতি আদায় করেন। তমলুকে প্রতিবছর কালীপুজোর রাতে ভক্তরা সারা রাত জেগে মায়ের পুজো পাঠ ও যজ্ঞের পর অঞ্জলি দিয়ে পুজো দেন।
সৈকত শী